এ মামলায় বুধবার সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন
দেওয়ার তারিখ থাকলেও তা জমা না পড়ায় ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী
নতুন এই দিন ঠিক করে দেন।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের সহকারী
পুলিশ সুপার আল আমিন হোসেন গত ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় ‘মানিলন্ডারিং’ প্রতিরোধ
আইনে এ মামলা করেন।
এমপি পাপুল ও পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা সিআইডির
পাপুল ছাড়াও তার শ্যালিকা জেসমিন প্রধান,
মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান
মনির, জেসমিন প্রধানের কোম্পানি জে ডব্লিউ লীলাবালী, কাজী বদরুল আল লিটনের মালিনাধীন
কোম্পানি জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল এবং এই কোম্পানির ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা এবং অজ্ঞাতপরিচয়
আরও ৫-৬জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে
গত বছর জুনে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন ব্যবসায়ী পাপুল। ওই মামলার বিচার শেষে গত ২৮ জানুয়ারি
তাকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের একটি আদালত। এরপর দেশে তার সংসদ সদস্য পদ
বাতিল হয়ে যায়।
সিআইডির করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা
“সংঘবদ্ধভাবে মানব পাচারের মাধ্যমে অন্যূন ৩৮ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধ আয়
করেন। এই আয়ের প্রকৃত উৎস গোপনের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, স্থাবর বা
অস্থাবর সম্পদে রূপান্তর, ভোগবিলাসে ব্যয় এবং অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন মর্মে
প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।”
ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ইতোমধ্যে
এ মামলায় পাপলু, তার কোম্পানিসহ ৬ জনের ৫৩টি
হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে।