তাছাড়া ‘হাতবোমা, ধারালো অস্ত্র, ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌর এলাকায় রূপালী চত্বরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষে মো. আলাউদ্দিন (৩২) নামে একজন নিহত হন। আহত হন চার পুলিশ সদস্যসহ আরও অন্তত ২৫ জন।
এর জেরে বুধবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। ১৪৪ ধারা বাস্তবায়নে সকাল থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্য টহল দিচ্ছে। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পৌর এলাকায়।
ওসি জাহিদুল বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হাতবোমা, ধারালো অস্ত্র, ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা উদ্ধারসহ ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ১৪৪ ধারা বাস্তবায়নে টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিস্ফোরক ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। তবে নিহতের পরিবার থেকে কেউ এখনও অভিযোগ নিয়ে আসেনি বলে তিনি জানান।
সোমবার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন খিজির হায়াত খান। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষ বাধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে পৌর ভবন থেকে একদল লোক বের হয়ে সমাবেশের লোকজনকে ধাওয়া করে। এ সময় উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। হাতবোমা বিস্ফোরিত হয়। দোকানপাট ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে সংঘর্ষের খবর মেলে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি কাদের মির্জার অনুসারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির নামে একজন সাংবাদিক মারা যান।