কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন-এর
অধিনায়ক এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা
ইউনিয়নের ২৭ নম্বর জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
“উদ্ধার হওয়া শিশুটির (৭)
পরিবারের সদস্যরাও রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা দীর্ঘদিন আগে মিয়ানমার থেকে এসে
কক্সবাজার শহরে বসবাস করে আসছিল।”
স্বজনদের বরাতে এসপি
তারিকুল বলেন, গত ৭ মার্চ টেকনাফের ২৭ নম্বর জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২
ব্লকের বাসিন্দা মো. মোহছেনের মেয়ে নুর নাহার আত্মীয়তার সুবাদে বেড়াতে আসেন
কক্সবাজার শহরের এই মেয়েটির বাসায়। পরদিন ৮ মার্চ নুর নাহার চলে যান।
“কিন্তু নুর নাহার
চলে যাওয়ার পর থেকে এই শিশুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ
নেওয়ার পরও সন্ধান না পেয়ে ৮ মার্চ রাতে কক্সবাজার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি
করেন।”
এপিবিএন-এর এই
কর্মকর্তা আরও বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পরদিন ৯ মার্চ অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে
নিখোঁজ শিশুর পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হলে
কৌশলে ফাঁদ পাতা হয়।
“বুধবার দুপুরে
টেকনাফের জাদিমুরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন-এর একটি দল নুর নাহারের বসত
ঘর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।”
অভিযান চলাকালে নুর
নাহার পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জাননা তারিকুল।
উদ্ধার শিশুর পরিবারকে
কক্সবাজার সদর থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং তাকে অভিভাবকদের
কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এই এপিবিএন কর্মকর্তা।