বুধবার দুপুর ১টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মেডিকেল মোড়ে রংপুর-দিনাজপুর
সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশের অনুরোধে তারা সড়ক থেকে সরে পড়েন।
প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির
শিকার হয়েছে।
এই কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রংপুরের নর্দান মেডিকেল কলেজে
বিএমডিসি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন না থাকার পরও শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো
হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বার বার আশ্বাস দিলেও অনুমোদন আসেনি।
কলেজে ‘হাসপাতালে’ নেই এবং প্রয়োজনীয় ‘শিক্ষক’ নেই বলেও তাদের অভিযোগ।
বিএমডিসি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন আনা এবং তা সম্ভব না হলে শিক্ষার্থীদের
অন্য কলেজে মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনরত
শিক্ষার্থীরা।
কলেজের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী আশরাফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন,
দীর্ঘদিন থেকে কলেজ বন্ধ, হাসপাতালে কোনো রোগী নেই, ধার করা রোগী ও ধার করা শিক্ষক
দিয়ে ক্লাস করিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করছে কর্তৃপক্ষ।
“এই সমস্যা নিরসনে অন্য মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে
শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।”
নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের পঞ্চমবর্ষের শিক্ষার্থী আলমগীর কবির বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, বুধবারের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের একটি
প্রতিনিধিদল তাদের দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাবে।
এদিকে, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ
হাসান মৃধাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে
দেওয়ার আহ্বান জানান। প্রায় সোয়া ২ ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) আলতাফ হোসেন
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। মাইগ্রেশনের
প্রক্রিয়ার বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। আপাতত শিক্ষার্থীরা
সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।