ভাইরাসের এ নতুন ধরনটি নিয়ে যুক্তরাজ্যের গবেষকদের করা একটি গবেষণার ফলাফল বুধবার ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, সেখানেই বিজ্ঞানীরা এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে
গবেষণায় বি.১.১.৭ হিসেবে পরিচিত সার্স-কোভ-২ এর নতুন ধরনে আক্রান্তদের সঙ্গে করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার তুলনা করা হয়। এই তুলনায় নতুন ধরনটিতে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ‘উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি’ বলে দেখা গেছে, জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
করোনাভাইরাসের বি.১.১.৭ ধরনটি প্রথম সেপ্টেম্বর ২০২০ এ ব্রিটেনে শনাক্ত হয়। তারপর থেকে বিশ্বের শতাধিক দেশে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।
এই নতুন ধরনটির জেনেটিক কোডে ২৩টি মিউটেশন রয়েছে। মিউটেশনের এ সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এ মিউটেশনগুলোর কয়েকটির কারণে ধরনটি আরও সহজে ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগের প্রভাবশালী ধরনগুলোর চেয়ে এটি ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণপ্রবণ।
যুক্তরাজ্যের এ গবেষণায় নতুন ধরনটিতে আক্রান্ত ৫৪ হাজার ৯০৬ জন করোনাভাইরাস রোগী নমুনা নেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে ২২৭ জন মারা যান; তুলনায় অন্যান্য ধরনে আক্রান্ত একই সংখ্যক রোগীর মধ্যে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাধীন গবেষকরা বলছেন, এই গবেষণার ফলাফলগুলো প্রাথমিকভাবে পাওয়া প্রমাণগুলোর সঙ্গে মিলে যাচ্ছে, প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে বি.১.১.৭ ধরনটিতে আক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ার ইঙ্গিত মিলেছিল।
প্রাথমিক গবেষণা ও অন্যান্য গবেষণা থেকে পাওয়া ওই তথ্য চলতি বছরের প্রথমদিকে যু্ক্তরাজ্য সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছিল।
ইউরোপজুড়ে কোভিড-১৯ এর সাম্প্রতিক বৃদ্ধি যুক্তরাজ্যের এ ধরনটির কারণে হয়ে থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাজ্যের ওয়ারইক বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিকিউলার অনকোলজির প্রফেসর ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞ লরেন্স ইয়ং।