কোন
কর্তৃত্ববলে তিনি শিশুটিকে ‘সশ্রম কারাদণ্ড’ দিয়েছেন, লিখিতভাবে সে ব্যাখ্যা দিতে
বলা হয়েছে যশোরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মাহমুদা
খাতুনকে।
আদেশের
অনুলিপি পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে তাকে এ ব্যাখ্যা দিতে হবে।
বিচারপতি
এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার
এ আদেশ দেয়।
হাই
কোর্টের এই বেঞ্চে দায়িত্ব পালনকারী আইন কর্মকর্তা সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “দণ্ডিত ওই শিশুর রায়ের বিরুদ্ধে করা জেল আপিলটি গ্রহণ করা হবে কি
হবে না অর্থাৎ আপিলটির গ্রহণযোগ্যতার শুনানির সময় আদালত দেখতে পান আপিলকারী একজন
শিশু। তখন আদালত ওই বিচারকের কাছে এর লিখিত ব্যাখ্যা চান।”
হাই
কোর্ট জেল আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে শিশুটিকে এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছে
বলেও জানান এই আইন কর্মকর্তা।
বিস্ফোরক
দ্রব্যাদি আইন, ১৯০৮ এর দুটি ধারায় ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর শিশুটির বিরুদ্ধে
বিচারিক আদালতের রায় হয়।
আইনের
৪ ও ৫ ধারার অভিযোগ বিচারিক শিশুটিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৪(বি) ধারায় তিন বছরের
সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
পরে
২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর শিশুটি যশোরের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে
হাই কোর্টে জেল আপিল করে।