বুধবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে বেসামরিক
বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পাঠানো
এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ সচিব ড. বিলকিস
বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন শনাক্ত
হওয়ায় সারা বিশ্বের সঙ্গেই যুক্তরাজ্যের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বাংলাদেশে যেন ওই
ভাইরাস না ছড়াতে পারে, সেজন্য বাংলাদেশেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয় গত ডিসেম্বরে।
“সে অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য থেকে ফেরা যাত্রী,
যারা সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকতে আগ্রহী নন, তাদের জন্য নিজ খরচে হোটেলে থাকার একটি সেবা মূল্যসহ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক
ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোয়ারেন্টিন সেবার
জন্য কয়েকটি হোটেল আবেদন করেছিল। আবেদনগুলো আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।
সেখান থেকে এই হোটেল নির্ধারণ করা হয়েছে।”
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
এএসএম আলমগীর জানিয়েছেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাজ্য থেকে আসা ৬ জনের শরীরে
করোনাভাইরাসের ওই ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া গেছে।
বর্তমানে লন্ডনফেরত যাত্রীদের জন্য সাত দিনের
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। কোয়ারেন্টিন শেষে কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার
পর ফল নেগেটিভ হলে একজন যাত্রীকে আরও সাত দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়। আর আর
ফল পজেটিভ হলে তাকে হাসপাতালে আইসোলেশনের পাঠানো হয়।