আবু ধাবিতে চলমান
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন এই কীর্তি গড়েন হাশমতউল্লাহ। চার
নম্বরে নেমে ৪৪৩ বলের ম্যারাথন ইনিংসে করেছেন ২০০ রান। তার ইনিংসে ২১ চারের পাশে ছক্কা
একটি।
প্রথম দিন ১৫৪
বলে ফিফটি করা হাশমতউল্লাহ প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন দ্বিতীয় দিন, ২৭৬ বলে।
তার ১৫০ আসে ৩৪২ বলে। এরপর ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকেন এই ব্যাটসম্যান।
পুরোটা সময়ই তিনি
ছিলেন সাবধানী। কেবল বাজে বলকেই লাগিয়েছেন কাজে, মেরেছেন বাউন্ডারি। দলকে এগিয়ে নেওয়ার
সঙ্গে সঙ্গে তিনিও এগিয়ে যান লক্ষ্যের দিকে। অবশেষে তা ধরাও দেয় তার ব্যাটে।
হাশমতউল্লাহ ডাবল
সেঞ্চুরি করার পরপরই ৪ উইকেটে ৫৪৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় আফগানিস্তান। টেস্টে তাদের
আগের সর্বোচ্চ ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৪২।
টেস্ট ইতিহাসে
প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন বিলি মারডক। ১৮৮৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন নম্বরে
নেমে ২১১ রানের ইনিংস খেলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। সেটি ছিল টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের
১৬তম ম্যাচ।
ইংল্যান্ড তাদের
প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ানের দেখা পায় ১৯০৩ সালে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচে নেমে ২৮৭
রান করেন টিপ ফস্টার। এর সাত বছর পর, ১৯১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি
এনে দেন অব্রি ফকনার। তিনে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেন ২০৪ রান।
ক্লিফোর্ড রোচ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান। ইংলিশদের বিপক্ষে ১৯৩০ সালে ওপেনিংয়ে নেমে
খেলেন ২০৯ রানের ইনিংস। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন মার্টিন ডোনেলি।
১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচে নেমে তার ব্যাট থেকে আসে ২০৬ রান।
পাকিস্তান প্রথম
ডাবল সেঞ্চুরিয়ান পায় ১৯৫৫ সালে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ নম্বরে নেমে ইমতিয়াজ আহমেদ
করেন ২০৯ রান। একই বছর ভারতের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন পলি উমরিগর, প্রতিপক্ষও
একই। তিনে নেমে তিনি খেলেন ২২৩ রানের ইনিংস।
১৯৮৭ সালে নিউ
জিল্যান্ডের বিপক্ষেই দেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান পায় শ্রীলঙ্কা। কিপার-ব্যাটসম্যান
ব্রেন্ডন কুরুপ্পু অপরাজিত ছিলেন ২০১ রানে। জিম্বাবুয়ের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি ডেভ
হটনের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৯৪ সালে ২৬৬ রান করেন তিনি চারে নেমে।
বাংলাদশের প্রথম
ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০ রান করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত তিনটি টেস্ট খেলা আয়ারল্যান্ডের নেই কোনো ডাবল সেঞ্চুরিয়ান।