ক্যাটাগরি

সঠিক ইতিহাস বলতে গেলে তারা বলে ভণ্ডামি: মোশাররফ

বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার দলটির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে রচনা প্রতিযোগিতা কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ বলেন, তারা যখন মার্চের দিবসগুলো পালন শুরু করেন, তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তা স্বাগত জানালেও পরে প্রতিক্রিয়া ঘুরে যায়।

“পরে তিনি বলেছেন যে বিএনপির এসব কর্মসূচি না কি ভণ্ডামি। যখন আমরা প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরছি, তখন একে বিভ্রান্ত করার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীও যে কথা বলেছেন, সেটা দুঃখজনক।”

আওয়ামী লীগ ‘খণ্ডিত’ ইতিহাস প্রচার করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

“সেজন্য আমরা এই সুবর্ণজয়ন্তীকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি,” বলেন তিনি।

রচনা প্রতিযোগিতায় ১০টি স্তরে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি, উচ্চ মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কাছ থেকে লেখা আহ্বান করা হবে।

প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য ‘শিশুদের জিয়া’, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির জন্য ‘মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ জিয়া’, একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও জিয়াউর রহমান’, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’, ‘শহীদ জিয়া: জননন্দিত রাষ্ট্রনায়ক’, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও বিএনপি’, ‘আন্তর্জাতিক অঙনে শহীদ জিয়া’, উন্মুক্ত স্তরের(সকল বয়সের জন্য) ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’, ‘শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি ও বর্তমান উপযোগিতা’, ‘বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের সূচনা ও বিকাশ’, বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরে শহীদ জিয়ার অবদান’ বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জন্যও স্তর ভেদে আলাদাভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগীদের ৩১ মের মধ্যে রচনা পাঠাতে হবে। জেলা ও বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে  বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।

রচনা প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য তু্লে ধরে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আজকে যারা বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থী আছে, তাদেরকে যে নির্দিষ্ট টেক্সট বইয়ের মাধ্যমে সঠিক তথ্য জানানো হচ্ছে না। তাদেরকে প্রকৃত ইতিহাস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সেগুলো যাতে উপলব্ধি করতে পারে এবং অবহিত হতে পারে, সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এই রচনা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছি।”

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রচনা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, কমিটির সদস্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক এমদাদ হোসেন, অধ্যাপক  শফিকুল হাসান মামুন, হাসান মাহমুদ, শামসুজ্জামান মেহেদি, একরামুল হাসান, মামুনুর রশীদ মামুন, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাইফ মো. জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।