বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি জহিরুল হক জানান।
“বাসের গ্যাসের সিলিন্ডার ধেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে,” বলেন তিনি।
ওসি জানান, দগ্ধ অন্তত নয় যাত্রীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। কয়েকজনকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহতদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। লাশ দুটি দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জহিরুল জানিয়েছেন।
দগ্ধ ১২ জনকে রাত ৮টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড
প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
তারা হলেন- ওমর ফারুক (৫০), গোলাম হোসেন (৭৫), মোহাম্মদ মিজান (৫২), কহিনুর বেগম
(৩২), সানজানা (১৩), সামছুন্নাহার (৭০), নুরুল ইসলাম (৭৫), মহসিনা (৩৮), তাসলিমা
(৬), হালিমা বেগম (৬১), তাহিয়া (১০) ও আবদুর রহিম (৫৫)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে
বলেন, ১২ জনের মধ্যে গোলাম হোসেনের শরীরের ৩১ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ওমর ফারুক ও
মিজানের দেহের ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
বাকি নয়জন ‘খুবই সামান্য দগ্ধ’ হয়েছেন জানিয়ে বাচ্চু মিয়া বলেন,
তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
ওসি জহিরুল হক জানান, মতলব এক্সপ্রেসের বাসটি চাঁদপুরের মতলব যাচ্ছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
পরে দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলে আশপাশের বাস ও দোকানগুলো রক্ষা পায় বলে ওসি জানান।
দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় সাত কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পোহান।