ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন ভাঙ্গার তারাকান্দি গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী মো. আবু বকর খাঁনের শয্যা পাশে
গিয়ে প্রায় ১১ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সেই চেক তুলে দেন জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা তিথি মিত্র।
এতে আবেগাপ্লুত আবু বকর খান বলেন, “এভাবে হাসপাতালে বসে চেক পাব তা কোনো
দিন কল্পনাও করিনি।“
এছাড়া বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় দুলালী গ্রামের ছুফিয়া বেগম ওরফে ছবিরননেসাকে ৭ লাখ
১২ হাজার টাকার, মোসা. শুকুরননেসাকে ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকার, শ্রীবরদি গ্রামের জোসনা
বেগমকে ১১ লাখ ৬১ হাজার টাকার এবং সালথার পাটপাশা গ্রামের মোসা. নূরজাহান বেগমকে ১৮
লাখ ২২ হাজার টাকার চেক তাদের বাড়িতে গিয়ে গ্রহীতাদের হাতে তুলে দেন বলে জানিয়েছেন
তিথি।
বৃহস্পতিবার ফরিদপুরে পদ্মা সেতু রেল সংযোগের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের
প্রকল্পের এবং সালথা বাইপাস সড়কের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের মোট
৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮ হাজার ৪১১ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
বিকেলে নগরকান্দা উপজেলার চর যশোহরদী ইউনিয়নের চর শ্রীবরদী সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাকি ৮৯ জন জমি মালিকদের মাঝে এ চেক বিতরণ করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতি প্রু,
জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
তিথি মিত্র, চর যশোহরদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পথিক তালুকদারসহ সংশ্লিষ্টরা।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের সব মিলিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নগরকান্দা
ও সালথা উপজেলার প্রায় ৩শ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব জমির মালিকদের ক্ষতিপুরণ বাবদ প্রথম পর্যায়ে ২৭০ কোটি টাকা, দ্বিতীয়য়
পর্যায়ে ১৮৬ কোটি টাকা এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৩শ জনের মাঝে ১২ কোটি ৩৪ লাখ ৫৮০ টাকার চেক
বিতরণ করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, এখনও আরও সাড়ে তিনশ জমির মালিক তাদের
জমির ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার অপেক্ষা রয়েছে।