ক্যাটাগরি

আইরিশদের উড়িয়ে সিরিজ জিতল ইমার্জিং দল

শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার বাংলাদেশের উঠতিরা জিতেছে ৮ উইকেটে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি এক ম্যাচ হাতে রেখেই তারা জিতে নিয়েছে ৩-০ তে।

ওপেনিংয়ে নেমে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল। হৃদয় খেলেন অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস। দুইজনের ১৭৬ রানের অবিছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশ আইরিশদের ১৮২ পেরিয়ে যায় ৫১ বল বাকি থাকতে।

৮৮ রানের ইনিংসে খেলেছেন হৃদয়।

৮৮ রানের ইনিংসে খেলেছেন হৃদয়।

সফরকারীদের অল্পতে থামিয়ে দেওয়ার মূল কারিগর সুমন। ডানহাতি এই পেসার ৩১ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন মুকিদুল, রাকিবুল হাসান, সাইফ হাসান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ড শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মুকিদুল। স্টিভেন ডোহেনিকে ১১ রানে ফেরান এই পেসার। শুরু ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালান মার্ক অ্যাডায়ার ও জেরেমি ললোর।

সুমন পরপর দুই বলে তুলে নেন ললোর ও হ্যারি টেক্টরের উইকেট। দুইজনেই ক্যাচ দেন কিপার আকবর আলিকে।

পরের ওভারেই কার্টিস ক্যাম্পারকে ফিরিয়ে দেন সুমন। চাপে পড়া দলের হাল ধরেন অ্যাডায়ার ও লর্কান টাকার। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তাদের কেউই। পরপর দুই ওভারে অ্যাডায়ার ও টাকারকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল। অ্যাডায়ার করেন ৪০, টাকার ২৪।

গ্যারেথ ডেলানিও টিকেননি বেশিক্ষণ, তিনি শিকার মুকিদুলের। রুহান প্রিটোরিয়াস ও গ্রাহাম হিউমের জুটিতে দেড়শ পার করে আয়ারল্যান্ড।

৪ চারে প্রেটোরিয়াস ৩৫ রানে আউট হলে ভাঙে হিউমের সঙ্গে তার ৫৭ রানের জুটি। সাইফের বলে তিনি ক্যাচ দেন বদলি ফিল্ডার রিশাদ হোসেনকে। পিটার চেইসকে বোল্ড করে সফরকারীদের ৪৭ তম ওভারেই থামিয়ে দেন সুমন। হিউম অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে।

রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই হারিয়ে বসে দুই উইকেট। তানজিদ হাসানকে বোল্ড করার পর ইয়াসির আলি চৌধুরিকে কট বিহাইন্ড করেন চেইস। এ দিন ওপেন করতে নামেননি আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাইফ।

১০ রান ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে পথ দেখান মাহমুদুল ও হৃদয়। শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করেন দুই ব্যাটসম্যান। কঠিন সময় পার করে দেওয়ার পর শট খেলতে শুরু করেন হৃদয়।

৪ উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন সুমন খান।

৪ উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন সুমন খান।

৯৮ বলে ফিফটি তুলে নেন মাহমুদুল। পরের ওভারে টেক্টরকে মারেন জোড়া চার। হৃদয় ফিফটি স্পর্শ করেন ৬৯ বলে। বেন হোয়াইটকে চার মেরে পঞ্চাশে যাওয়ার পর ওই ওভারের শেষ দুই বলেও হাঁকান বাউন্ডারি।

৪২তম ওভারে টেক্টরকে পরপর দুই চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মাহমুদুল। ১৩৫ বলের ইনিংসে ৮ চার মারেন তিনি। হৃদয়ের ৯৭ বলের ইনিংসে চার ৯টি।

সিরিজের শেষ ম্যাচে আগামী রোববার একই মাঠে মুখোমুখি হবে দুই দল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল: ৪৬.২ ওভারে ১৮২ (ললোর ১৬, ডোহেনি ১১, অ্যাডায়ার ৪০, টেক্টর ০, ক্যাম্পার ৫, টাকার ২৪, ডেলানি ৬, প্রিটোরিয়াস ৩৫, হিউম ২৯*, হোয়াইট ২, চেইস ৬; মুকিদুল ৯-১-২৯-২, সুমন ৮.২-২-৩১-৪, খালেদ ৭-০-৩৫-০, রকিবুল ১০-০-৩৬-২, শামীম ৫-১-১৪-০, হৃদয় ২-০-১০-০)।

বাংলাদেশ ইমার্জিং দল: ৪১.৩ ওভারে ১৮৬/২ (তানজিদ ২, মাহমুদুল ৮০*, ইয়াসির ২, হৃদয় ৮৮*; অ্যাডায়ার ৪-১-৭-০, চেইস ৮-০-২৯-২, হোয়াইট ৮-০-৪০-০, প্রিটোরিয়াস ৪-১-১২-০, হিউম ৭-০-২৯-০, ডেলানি ৬-০-৩৮-০, টেক্টর ৪.৩-০-২৯-০)।

ফল: বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৮ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৩-০তে এগিয়ে।