ফরিদপুর
পৌর এলাকার খালিশাদহ মৌজায় ১২ শতাংশ খাসজমিতে গাড়িচালক মুকুলউদ্দিন এই স্থাপনা
নির্মাণ করছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলার বনওয়ারীনগর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা
কে এম হাবিবুল হক।
তিনি
বলেন, সরকারি ওই জমিতে একসময় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাদের সরকারি বাসভবন ছিল। পরিত্যক্ত
পড়ে থাকায় ১৯৯৬ সালে মাসিক ২০০ টাকা ভাড়ায় স্ত্রী রাশিদা বেগমের নামে ইজারা নেন
মুকুলউদ্দিন। ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি এখানে বসবাস করছেন।
“এটি
খাসজমি। সরকারি সম্পত্তি হওয়ায় এখানে স্থায়ীভাবে কংক্রিটের পাকা স্থাপনা নির্মাণের
তার কোনো অধিকার নেই। তিনি ইজারার শর্ত ভঙ্গ করেছেন।”
মুকুল
উদ্দিন বলছেন, তিনি নিয়ম অনুযায়ী জমি বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
“যেহেতু
পরিবার নিয়ে ২৫ বছর ধরে এখানে বাস করছি, সেহেতু সরকারি নিয়ম অনুসারে জমিটি
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাওয়ার অধিকার আমার রয়েছে। আমার স্ত্রীর নামে পৌরসভা হোল্ডিং
ট্যাক্স ও বৈদ্যুতিক বিল হালনাগাদ রয়েছে। আমার বসবাসের ঘর নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাড়ির
কাজ শুরু করেছি।”
ফরিদপুরের
ইউএনও আহমেদ আলী বলেন, “মুকুল সরকারি খাসজমিতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে আইনত
অনুমতি নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি অবৈধ দখলদার নন। তবে ইজারা নেওয়া সরকারি জমিতে পাকা
স্থাপনা গড়ার সুযোগ নেই। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উদ্যোগ নেওয়া হবে। ইউএনওর ড্রাইভার
বলে কোনো বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই।”
খালিশাদহ
মৌজায় এক একরের বেশি সরকারি জমি বেদখলে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেগুলো উদ্ধারে
শিগগির অভিযান চালানো হবে।