ক্যাটাগরি

সুপ্রিম কোর্ট বারের নেতৃত্বে খসরু-কাজল, সংখ্যাগরিষ্ঠতা আওয়ামীপন্থিদের

আর টানা দ্বিতীয়বারের মতো সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

শুক্রবার ভোট গণনা শেষে রাত একটার দিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আহ্বায়ক সাবেক বিচারপতি এএসএম আবদুর রহমান ফল ঘোষণা করেন।

এর আগে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ হয়।

এবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১৪টি পদের মধ্যে ৮টি পদে বিজয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত ‘সাদা প্যানেল’র প্রার্থীরা। আর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমর্থিত নীল প্যানেলে’র প্রার্থীরা ৬টি পদে বিজয়ী হয়েছেন।

সে হিসাবে আগামী এক বছর সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের এ সংগঠনের কর্তৃত্ব আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের হাতে ফিরল।

সভাপতি, একটি সহ-সভাপতি, একটি সহ-সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও চারটি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাদা প্যানেলের প্রর্থীরা।

আর সম্পাদক, একটি সহ-সভাপতি, একটি সহ-সম্পাদক ও তিনটি সদস্য পদ পেয়েছে বিএনপিপন্থি নীল প্যানেল।

সভাপতি পদে আবদুল মতিন খসরু ২ হাজার ৯৬৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নীল প্যানেলের মো. ফজলুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ১৩২ ভোট।

সম্পাদক পদে নীল প্যানেল থেকে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস ৩ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের আবদুল আলিম মিয়া পেয়েছেন ২ হাজার ২০৪ ভোট।

সহ-সভাপতির দুটি পদের একটিতে নীল প্যানেলের মো. জালাল উদ্দিন সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যটিতে ২ হাজার ৬১১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন সাদা প্যানেলের মুহাম্মদ শফিক উল্ল্যা।

কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাদা প্যানেলের প্রার্থী মো. ইকবাল করিম। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৮৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব পেয়েছেন ২ হাজার ১৫১ ভোট।  

সহ-সম্পাদকের দুটি পদের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছেন নীল প্যানেলের মাহমুদ হাসান, তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৭২৪ ভোট। অন্যটিতে সাদা প্যানেলের সাফায়েত সুলতানা রুমা ২ হাজার ৫১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

সাতটি সদস্য পদের মধ্যে সাদা প্যানেলের যে চার প্রার্থী বিজয় হয়েছেন তারা হলেন, হলেন এ বি এম শিবলী সাদেকীন, মাহফুজুর রহমান, মিন্টু কুমার মণ্ডল, মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ।

আর নীল প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন, এস এম ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, পারভীন কাওসার ও রেদওয়ান আহমেদ।

এবারের নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ভোটার ৭ হাজার ৭২১ জন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৪৮৬ জন ভোট দিয়েছেন।