ভারতে এর আগে সর্বশেষ গত ১৯ ডিসেম্বর একদিনে এর থেকে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
শনাক্তের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরই ভারতের অবস্থান। দেশটিতে এক কোটি ১৩ লাখের বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন এক লাখ ৫৮ হাজার ৪৪৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৪০ জন। অথচ, ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা একশ বা তার নিচে থাকতো।
ভারতে গত বছর এক সময়ে দৈনিক লাখ ছুঁই ছুঁই রোগী শনাক্ত হত। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর থেকে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ক্রামগত কমতে থাকে। তার মধ্যেই গত ১৬ জানুয়ারি দেশটিতে গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
টিকাদান শুরু হওয়ার পরও কেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে তা নিয়ে সরকার এবং বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগে আছেন। অনেকে এর কারণ হিসেবে বলছেন, জানুয়ারিতে টিকাদান শুরু হওয়ার পর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই সেখানে জনগণের মধ্যে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে অনীহা দেখা দেয়। লোকজন ভিড় করে নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুরু করেন, ভ্রমণও বেড়ে গেছে।বর্তমানে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সবথেকে বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে।
দিন দিন ‘নাজুক’ হচ্ছে ভারতের কোভিড পরিস্থিতি
শুক্রবার প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, হঠাৎ করে ভাইরাস সংক্রমণ ৬০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় ভারতের নাগপুরে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের কারফিউ ও লকডাউন জারি করা হয়েছে এবং কঠোরভাবে এ আদেশ বাস্তবায়নে নগরীতে প্রায় তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
ভারত সরকার আগামী অগাস্টের মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার একপঞ্চমাংশকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।