শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে
প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই দাবি উত্থাপন এবং জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা
নেওয়ার আবেদন জানায় সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাকির
খান বলেন, “কোনো প্রকার প্রজ্ঞাপণ ছাড়াই ২০১০ সাল থেকে আকস্মিকভাবে গ্যাস
সংযোগ বন্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে
আমাদের আবেদন এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আবার সংযোগ চালু হয় এবং ঠিকাদার
গোষ্ঠী তাদের কাজের বিনিময়ে মজুরি গ্রহণ করে পরিবার নিয়ে ভালোই জীবনযাপন করছিল।
“কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০১৫ সালে আবারও কোনো প্রকার
নোটিস ছাড়াই আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। অথচ
পেট্রোবাংলার অধীনে তিতাস, বাখরাবাদ, পশ্চিম অঞ্চল, কর্ণফুলী, জালালাবাদ এবং সুন্দরবন
গ্যাসসহ মোট ছয়টি কোম্পানির অসংখ্য গ্রাহক ফি এবং জামানতের টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েও
গ্যাস সংযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। পাশাপাশি
অনুমোদিত তালিকাভুক্ত ঠিকাদারবৃন্দ গ্যাস সংযোগের জন্য যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে আকস্মিকভাবে
গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন।”
তিনি বলেন, “খুবই দুঃখের বিষয়, ঠিকাদারীর কাজ নেই,
কিন্তু প্রতি বছর প্রতিটি গ্যাস কোম্পানি থেকে তালিকাভুক্তি নবায়ণের জন্য নোটিস দেওয়া
হয় এবং নবায়ণ ফিসহ অন্যান্য খরচাদির যাঁতাকলে পড়ে ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুধার্ত
অসহায় মানুষের জন্য এটি পরিহাসের মতই।”
সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে আবাসিক গ্যাস সংযোগ
চালু করে গ্রাহককে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে উদ্ধার ও ঠিকাদার এবং তাদের অধীনে কর্মজীবীদের
আয়ের পথ খুলে দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক
গাজীব ইব্রাহীম মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম পাটোয়ারীসহ অন্যরা উপস্থিত
ছিলেন।