ক্যাটাগরি

মাহফিলের বক্তা যোগাড়ের নামে প্রতারণা, ইমাম গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার মাওলানা এবিএম
শরিফুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম।

শুক্রবার রাতে তাকে নারায়ণগঞ্জ
থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান শিল্পাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হাফিজ
আল ফারুক।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে তিনি বলেন, আল রাসেল নামে এক ব্যক্তির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার মামলায় তাকে
গ্রেপ্তার করা হয়।

এজাহারের বরাত দিয়ে হাফিজ
বলেন, শরিফুল প্রতারণার সময় নিজের নাম পরিবর্তন করে নাজমুল ব্যবহার করেন। তিনি নিজেকে
ধর্মীয় বক্তা মীর হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদীর এপিএস পরিচয় দেন।

কিশোরগঞ্জের মিঠাইমনের
হোসেনপুর গ্রামে ৫ মার্চ ওয়াজ মাহফিলের জন্য হাবিবুরকে প্রধান বক্তা হিসাবে আনার ব্যবস্থা
করবেন প্রতিশ্রুতি দেন নাজমুল। এর জন্য মোট ৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে রাসেলের কাছ থেকে
মোট ২৯ হাজার টাকা অগ্রিম নেন তিনি।

“৫ মার্চ মাহফিল সামনে
রেখে এলাকায় পোস্টার, লিফলেট ও ফেস্টুন লাগানো হয়। কিন্তু নির্ধারিত দিনে যোগাযোগ
করা হলে ‘হুজুরকে নিয়ে আসছি, আর কয়েক মিনিট, রাস্তায় আছি’ এসব বলে সময় কাটান নাজমুল।
রাত ১২টা পর্যন্ত না আসায় মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে প্যান্ডেল ভেঙে ফেলে। তখন নাজমুলের মোবাইল
ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।”

শরিফুলকে গ্রেপ্তার করার
পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে মীর হাবিবুর রহমান নানাভাবে তদবির করেছেন বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা
জানান।

হাফিজ বলেন, মাওলানা মীর
হাবিবুর রহমানের বিভিন্ন মাহফিলে শরিফুল ইসলাম থাকেন এবং নিজেকে তার এপিএস পরিচয় দেন।
হাবিবুরের মাহফিলের কর্মসূচি তিনি ঠিক করে থাকেন।

“পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,
মাওলানা নাজমুল নামের এই ব্যক্তি আসলে মাওলানা এবিএম শরিফুল ইসলাম।”

প্রতারণার সঙ্গে হাবিবুর
রহমানের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তদন্তের প্রয়োজনে
তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

শরিফুলকে পুলিশ হেফাজতে
নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এবিষয়ে হাবিবুর বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কিশোরগঞ্জের অনুষ্ঠানের ব্যাপারে শরিফুল তাকে কিছুই বলেনি।
অগ্রিম যে টাকা নিয়েছে তাও তাকে দেয়নি।এমনতো না সে জিনা, ব্যাভিচার বা খুন করেছে। তবে
সে যে কাজটা করেছে সেটা অন্যায়। আলেম হিসাবে মানবিক কারণে ছেড়ে দিতে তদবির করা হয়েছে।

“ভেবেছিলাম ছেলে মানুষ
বুঝে না, ভবিষ্যতে আর করবে না এজন্য ক্ষমা করে দিতে ডিসিকে ফোন করেছিলাম, তিনি ধরেননি
এজন্য ওলামা লীগের একজনকে ডিসির কাছে পাঠিয়েছিলাম।”

তবে সে যে অন্যায় করেছে
শাস্তি তার প্রাপ্য, বলেন তিনি।