দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনিক বিজ্ঞপ্তিতে এক সপ্তাহের এই চিত্র উঠে এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ৭ থেকে ১৩ মার্চ – এই এক সপ্তাহে সারা দেশে মোট এক লাখ ১৬ হাজার ২৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে ৬ হাজার ৫১২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। আক্রান্তদের মধ্যে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়। আর ৮ হাজার ৩৪৪ জন সুস্থ হয়ে ওঠেন।
তার আগের সপ্তাহে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চের মধ্যে মোট এক লাখ ১ হাজার ৪৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
ওই সময়ে ৩ হাজার ৮৯৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, মৃত্যুর হয়েছিল ৫১ জনের। আর মোট ৫ হাজার ৮৫৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।
সেই হিসেবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৬৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।
করোনাভাইরাস: আরও ১২ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০১৪
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫১টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৭টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৭২টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ, সর্বমোট ২১৯টি ল্যাবে মোট ১৬ হাজার ২০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে আরও এক হাজার ১৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৬ জনে পৌঁছায়।
এই ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয় আরও ১২ জনে। তাতে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৫২৭ জনে পৌঁছায়।
দেশে এ পর্যন্ত যে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে ৫ লাখ ১০ হাজার ৩১০ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
গত ১৯ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসার পর এক পর্যায়ে তা ৩ শতাংশের নিচেও নেমেছিল। তবে মার্চের শুরু থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শনাক্তের হারও বাড়তে থাকে। ৯ মার্চ তা আবার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। আর গত দুদিন ধরে দৈনিক শনাক্তের হার রয়েছে ৬ শতাংশের বেশি।