দুই পক্ষের মধ্যকার উত্তেজনা কমাতে ওয়াশিংটন নানান উপায়ে পিয়ংইয়ংয়ের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়েছে বলেও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে দেশ দুটি আগের অবস্থানেই অনড় আছে।
বাইডেনের পূর্বসূরী ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের মধ্যে তিন দফা বৈঠক হলেও এই ইস্যুতে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার ওই শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকগুলোও পিয়ংইয়ংকে তার পারমাণবিক অস্ত্রধর রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে দমাতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও এর ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।
বিবিসি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এখন পর্যন্ত বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
ওয়াশিংটন পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে যেসব প্রচেষ্টা চালিয়েছিল, তার মধ্যে ‘নিউ ইয়র্ক চ্যানেলও’ ছিল বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের উত্তর কোরীয় মিশনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টাকে তারা ‘নিউ ইয়র্ক চ্যানেল’ বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের ‘একাধিক চেষ্টা’ চালালেও কাজ হয়নি। এ সময়ের বেশিরভাগজুড়েই ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
বাইডেন এর মধ্যেই উত্তর কোরিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগের নীতি পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়েছেন; পিয়ংইয়ংকে ঘিরে তার প্রশাসনের নীতি এপ্রিলে জানা যেতে পারে।
ডেমোক্র্যাট এ প্রেসিডেন্ট অবশ্য এরই মধ্যে কিম জং উনকে ‘ডাকাত’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার উপর যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো আছে সেগুলো শিথিল চাইলে পিয়ংইয়ংকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পথে হাঁটতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
অন্যদিকে কিম যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বৈরিতার নীতি’ থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিনের জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরেও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের আকাঙ্ক্ষার বিষয়টিই প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে উত্তর কোরিয়া এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে। গত কয়েক মাসে মিত্র চীনের সঙ্গে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণও অনেক কমেছে।