বাদীর আইনজীবী মো. নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, রোববার টেকনাফ আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ মো. জিয়াউল হক এই আদেশ দেন।
গত ১৩ ডিসেম্বর মোহাম্মদ ইসহাক নামের এক যুবকের দায়ের করা এই মামলা আমলে নিয়ে বিবাদী আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত। এতে গত ১৪ জানুয়ারি বদিসহ বিবাদীদের আদালতে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।
নাজিম উদ্দিন জানান, মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতের সমন ফেরত না আসায় ওই নির্ধারিত দিনে শুনানি হয়নি। এতে আদালত মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করে ১৪ মার্চ।
আইনজীবী নাজিম উদ্দিন বলেন, আব্দুর রহমান বদিসহ বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালতের সমন কেউ গ্রহণ না করায় আদালতে ফেরত আসে।
“আদালতের জারিকারক মামলার মূল বিবাদী বদিকে স্থায়ী ঠিকানায় না পেয়ে বাড়ির গেইটে সমনের একটি ছায়াকপি সাঁটিয়ে দেন; কিন্তু মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় আদালত বিষয়টি আমলে নেয়নি।“
তাই আদালত বিবাদীদের ই-মেইল আইডিতে সমন পাঠানোর আদেশ দেয় বলে জানান নাজিম উদ্দিন।
এদিকে আদালতের সমন গ্রহণ না করে বিবাদী কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন মামলার বাদী মোহাম্মদ ইসহাক।
তিনি বলেন, মূলত সময়ক্ষেপণ করে মামলার মূল বিবাদী হয়রানির উদ্দেশে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন, যাতে মামলা পরিচালনায় তিনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
“আমি বদিসহ মামলার বিবাদীদের নানা হুমকিতে আছি। তারা আমাকে প্রাণে মেরেও ফেলতে পারেন। মূলত হয়রানির উদ্দ্যেশে সমনের চিঠি গ্রহণ না করে বিবাদীরা সময়ক্ষেপণ করছেন। “
মামালার নথি থেকে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়ার ২৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইসহাক কক্সবাজার-৪ আসনের (উখিয়া-টেকনাফ) সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে নিজের বাবা দাবি করে টেকনাফের সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বদি ছাড়াও বদির চাচা টেকনাফের পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলামকে বিবাদী করা হয়েছে।
বাদীর অভিযোগ, ৩০ বছর আগে টেকনাফ পৌরসভার ইসলামাবাদ ধুমপাড়ার বাসিন্দা আবুল বশরের মেয়ে সুফিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন বদি। সেই সূত্রে বাদী হলেন আব্দুর রহমান বদির প্রথম ছেলে সন্তান।