রোববার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাসের ‘ত্যাগ ও সেবা অভিযান’ উপলক্ষে এক আন্তঃধর্ম আলোচনা সভায় বক্তারা এ মত প্রকাশ করেন।
’বিধাতায় বিশ্বাসী হই নতুন দিনের আশায়, দরিদ্রদের সেবা করি গভীর ভালবাসায়’ শীর্ষক এ আলোচনায় চার ধর্মের প্রতিনিধি ফাদার পিন্টু কস্তা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুর হোসাইন, পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু ও ধর্মীয় আলোচক অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী বক্তব্য দেন।
ফাদার লেনার্ড সি রিবেরু বলেন, “সকল ধর্মেই যে বিষয়টি সবচাইতে বেশি বলা হয়েছে তা হল মানুষকে ভালবাসা, প্রতিবেশী ও দরিদ্রদের সেবা করা। যিনি যত বেশি ভালবাসাপূর্ণ সেবা দিতে পেরেছেন এবং আত্মত্যাগী হয়েছেন তিনিই যুগে যুগে মহান হয়েছেন।
“সৃষ্টিকর্তার ভালোবাসা লাভের অন্যতম উপায় হলো দরিদ্র প্রতিবেশীর বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করা। পৃথিবীতে আমরা যেভাবেই বা যে পরিবারেই জন্ম গ্রহণ করি না কেন, সবাই আমরা ভাইবোন। খাঁটি ও মুক্তমনের মানুষ কখনো সাম্প্রদায়িক বা ধর্মান্ধ হতে পারে না।”
কীভাবে ‘দয়া ও শান্তির’ সমাজ গড়া যায় তা নিয়ে নিজ নিজ ধর্মের মর্মবাণী আলোচনায় তুলে ধরেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা।
কারিতাসের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক রিমি সুবাস দাস অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আর্চডায়োসিসের প্রশাসক ফাদার লেনার্ড সি রিবেরু, ইলমার প্রধান নির্বাহী পরিচালক জেসমিন সুলতানা পারু, মমতার প্রধান নির্বাহী রফিক আহমদ, লিটন গোমেজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
উন্নয়ন সংস্থা কারিতাসে কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ৩৩ কর্মীকে এ অনুষ্ঠানে ‘লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।