তিনি বলেছেন, “নারীর ক্ষমতায়ন যেমন বেড়েছে, তেমনি সহিংসতাও বেড়েছে। সহিংসতা এখন পৈশাচিক পর্যায়ে চলে গেছে। কন্যাশিশু কারও কাছেই যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে আমরা যাব কোথায়?”
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রোববার জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনা সভা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মহামারীতে বাল্যবিয়ে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “এখন কন্যাশিশুদের প্রতি যে অবিচারটি বিশেষভাবে লক্ষণীয়, সেটা হল বাল্যবিবাহ।
“করোনার জন্য অনেকের আয় কমে গেছে, যার জন্য অনেক অভিভাবক ভেবেছেন যে, মেয়েটার বিয়ে দিলে একটা মুখ কমে যায়। বাল্যবিবাহ বেড়ে যাওয়ার এটা একটা কারণ।”
তবে বাল্যবিয়ের হার কমিয়ে আনতে নারী নেতৃত্বকে সাধুবাদ জানিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস ছামিল উদ্দীন শিমুল বলেন, “করোনাকালে বাল্যবিয়ে আমাদের একটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।
“কিন্তু বিভিন্ন এলাকাতে ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন নারীনেত্রীরা বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে কাজ করার ফলে এখন বাল্যবিয়ের হার কমে এসেছে। এর থেকে বোঝা যায় যে, করোনাকালে নারী নেতৃত্ব অনেক ভালো ভূমিকা রেখেছে।“
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য এবং পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস আদিবা আঞ্জুম মিতা, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর বদিউল আলম মজুমদার, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি, সহ-সম্পাদক রাবেয়া বেগম, কার্যনির্বাহী সদস্য ওয়াহিদা বানু, ইউএনডিপির হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রামের জেন্ডার এক্সপার্ট বিথীকা হাসান, টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে দুই জন নারীকে তাদের অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত দুজন হলেন বীরাঙ্গনা কানন গোমেজ এবং তরুণ নারী সাংবাদিক রাবেয়া আক্তার সুবর্ণা।
আরও পড়ুন
বাল্যবিয়ে রোধে জাতীয় কমিটি গঠন
নারীর প্রতি সহিংসতা: মহামারীর বিশ্বে হেল্প লাইনে কল বেড়েছে ৫ গুণ