সোমবার বকশীবাজারে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন। তার বাকি বক্তব্য শোনার পাশাপাশি জেরার জন্য ১৯ মে দিন রেখেছেন বিচারক।
আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এর আগে গত ৬ জানুয়ারি এ আদালতে প্রথম দিনের মত জবানবন্দি দিয়েছিলেন মাসুমা খাতুন।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী রেজাউল করিম বাচ্চু এবং আসামিপক্ষে আবদুস সোবহান তরফদার শুনানিতে ছিলেন।
২০১১ সালের ১৯ অগাস্ট মামলাটি দায়ের করে এনবিআর। ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীই এ মামলার একমাত্র আসামি।
সাঈদী এমপি থাকার সময় ২০০৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ২ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকা আয় গোপন করে তার উপর প্রযোজ্য ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসাবে জামায়াতের নায়েবে আমির সাঈদীর বিচার শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর। সাঈদী তার আগে থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। পরে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সাজা কমিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন:
সাঈদীর আত্মসাত মামলায় অভিযোগ গঠন পেছাল
কর ফাঁকি: সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযাগ গঠন ৩০ অক্টোবর
সাঈদীর কর ফাঁকির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে