মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের এক আবাসিক হোটেলের
কক্ষ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক আবু রায়হান
জানিয়েছেন।
নিহত আব্দুল মালেক (২৮) কক্সবাজার শহরের বাদশাঘোনা সওদাগর পাড়ার জাগির
হোসেনের ছেলে। তিনি মৎস্য ব্যবসায়ী ছিলেন।
উপ-পরিদর্শক আবু রায়হান বলেন, বিকালে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে
পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। কক্ষের খাটের নিচে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা
এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। খুনিরা গলায় তার পেচিয়ে
তাকে হত্যা করেছে।”
হোটেল সুইট হোম রিসোর্টের ম্যানেজার সৌরভ কবির জানান, গত সোমবার সকালে
ঢাকা থেকে আসা মো. বাবু এবং মো. নজরুল ইসলাম একদিনের জন্য ভাড়া নিয়ে তাদের হোটেলের
ওই কক্ষে ওঠেন। দিনভর হোটেলেই অবস্থান করছিলেন তারা।
তার ধারণা, পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে দিনের কোনো এক সময় নিহত আব্দুল মালেক
ওই কক্ষে আসেন।
হোটেল ম্যানেজার বলেন, “মঙ্গলবার বেলা ১২টার পর হোটেল কক্ষ ছাড়ার সময় হলে
কর্মচারীরা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পান। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও সাড়া না পেয়ে বিকল্প চাবি
দিয়ে কক্ষের দরজার খোলা হয়। এ সময় কক্ষের মেঝেতে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে
দেখে পুলিশকে জানানো হয়।”
হোটেলের নিবন্ধন খাতায় লেখা উল্লেখ করে সৌরভ বলেন, ঢাকার খিলগাঁও থানার
মালিবাগের বাসিন্দা আব্দুস সালামের ছেলে মো. বাবু এবং আবুল কাশেমের ছেলে মো. নজরুল
ইসলাম কক্ষটি ভাড়া নিয়েছিলেন।
সিসিটিভির ভিডিওতে দেখা যায় হোটেল কক্ষ ভাড়া নেওয়া ওই দুই যুবক সোমবার
রাত ১০টা ২২ মিনিটে হোটেল থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।