মঙ্গলবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় নিয়ে এক জরুরি সভায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সংক্রমণ কমানোর যেসব উপায় সভায় আলোচিত হয়, তার মধ্যে পুরোপুরি লকডাউন দেওয়া, সম্ভব না হলে ‘ইকোনমিক ব্যালেন্স’ রেখে জনসমাগম বন্ধ অথবা সীমিত করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ রাখার মতো বিষয় ঠাঁই পায়।
এছাড়া কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা, যারা রোগীদের সংস্পর্শে আসবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা, প্রবাসী যারা আসবেন তাদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টিনে রাখা এবং এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আলোচনায় উঠে আসা বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা গেলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
“আলোচনার বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জাতীয় ও কারিগরি কমিটির সঙ্গেও আলোচনা করব। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিয়ে সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।”
অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও করোনাবিষয়ক মুখপাত্র অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বৈঠকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি এক ধরনের উদ্বেগ তৈরি করছে। সেই উদ্বেগ নিরসনে আইইডিসিআরের গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা এবং প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য কাজ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
“আমরা মনে করি অপ্রয়োজনীয় সভা-সমাবেশ, অনুষ্ঠান এগুলো যদি বন্ধ রাখা যায় এবং স্বাস্থ্যবিধি, শিষ্টাচারগুলো যদি মানা যায়, তাহলে পরিস্থিতি থেকে তাড়াতাড়ি উত্তরণ ঘটানো সম্ভব। এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
দেশে বেশ কয়েকদিন ধরেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। গত একদিনে আরও এক হাজার ৮৬৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
বুধবার সকাল পর্যন্ত আরও এক হাজার ৮৬৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫২ জন হয়েছে।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু বেড়ে ৮ হাজার ৬০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।