ক্যাটাগরি

চীনা স্বপ্নের সঙ্গে সোনার বাংলাকে বাঁধতে চান শি

বুধবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, “এখন দুদেশই পুনরুজ্জীবন ও উন্নয়নের খুব গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। চীনের বৃহৎ জাতীয় নবায়নের স্বপ্ন জোরালোভাবে ‘সোনার বাংলা’ স্বপ্নের সঙ্গে মেলবন্ধন গড়তে পারে।”

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, “তিনি গোটা জীবন দেশ ও জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। এখনও বাংলাদেশের মানুষ তাই শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

“যে সোনার বাংলার স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, তা এখনও বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে জাতীয় পুনরুজ্জীবনের দিকে ধাবিত করছে।”

শেখ মুজিবকে চীনের ’পুরনো ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রেসিডেন্ট শি বলেন, “১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে দুবার চীন সফরে তিনি চেয়ারম্যান মাও সে তুং ও প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাইসহ জ্যেষ্ঠ চীনা নেতাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছিলেন।

“একটি চীনা প্রবাদে আছে ‘পানি পানের সময় কূপ খননকারীকে ভুলো না’, পূর্বপ্রজন্মের নেতারা কী করেছিলেন তা আমাদের সবসময় মনে রাখা উচিত।”

চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের চাবিকাঠি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে দেওয়া উচিত মন্তব্য করে শি বলেন, পাঁচ দশকে বাংলাদেশ স্বাধীনতার সময়ের দৃঢ় বিশ্বাসে অটল থেকেছে এবং একের পর এক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে গেছে। জাতীয় অগ্রগতিতে করেছে উন্নতি ও সমৃদ্ধি।

গত কয়েক বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতি ও প্রবৃদ্ধির প্রথম সারিতে উঠে এসেছে মন্তব্য করেন দ্বিতীয় শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ চীনের প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, ৬ শতাংশের উপরে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ জনগণের জীবনমান ভালো করার পাশাপাশি বৈশ্বিক দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসাবে চীন বাংলাদেশের ‍অগ্রগতিতে খুব খুশি।

চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন ও বাংলাদেশ সব সময় বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ছিল, প্রাচীন সিল্ক রোড শত শত বছর ধরে যার সাক্ষী।

”কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৬ বছরে আমরা নিজেদের পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে এবং সমান হিসেবে বিবেচনা করেছি। আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করেছি এবং একসঙ্গে এগিয়েছি।”

২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে শি জিনপিং বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ’কৌশলগত সহযোগিতার’ পর্যায়ে নিয়ে গেছি।

“বাংলাদেশ প্রথম দক্ষিণ এশীয় দেশ, যেটি প্রথম ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ সহযোগিতার আন্তঃসরকার চুক্তিতে সই করেছে। আমাদের সহযোগিতা উপকৃত করছে দুদেশের জনগণকে।”

পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে চীন সরকারের সহযোগিতা এবং চীনে প্রায় ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আমি বেশ গুরুত্ব দিই।

”রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মিলে আমাদের উন্নয়ন কৌশল, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ সহযোগিতা এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব।”