খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক
ইয়ারব হোসেন বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেলার তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা
গ্রামের ফরিদ মোল্লা, মিসবাহ মোল্লা, মোর্তজা মোল্লা ও টুটুল মোল্লা।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- একই গ্রামের মুক্ত মোল্লা,
শহিদুল শিকদার, সেলিম শিকদার, নাসির শিকদার ও মেহেদী মোল্লা।
তাছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার আসামিকে খালাস দিয়েছে
আদালত।
মোর্তজা ও মেহেদী পলাতক রয়েছেন। অন্যরা সবাই রায় ঘোষণার
সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম ইলিয়াস খান মামলার নথির বরাতে
জানান, ২০১০ সালের ১৫ অগাস্ট আসামিদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন একই গ্রামের ওষুধের
দোকানি ফিরোজ শেখ। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু
হয়।
পরে ফিরোজ শেখের ভাই হিরু শেখ বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখ
করে তেরখাদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩
সালের ৬ ডিসেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
আইনজীবী ইলিয়াস বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত দোষী সাব্যস্ত
করে চারজনের ফাঁসির রায় আর পাঁচজনের যাবজ্জীবন দিয়েছে। পলাতক মোর্তজা ও মেহেদী ধরা
পড়লে সেদিন থেকে তাদের সাজা শুরু হবে।