বৃহস্পতিবার সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত ‘নগরীতে মশা সমস্যা: কোন পথে সমাধান’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তৌহিদ উদ্দিন বলেন, “নগরীর মশা সমস্যার সমাধান সিটি করপোরেশনের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলেও এ বিষয়ে
কাজ করার জন্য সিটি করপোরেশনের নিজস্ব কোনো কীটতত্ত্ববিদ নেই। যার
ফলে টেকনিকাল বিষয়ের সমাধানগুলো যথাযথভাবে হচ্ছে না।”
নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে
অধিক মশার লার্ভা জন্মালেও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় আনা
হয় না বলেও জানান তিনি।
কীটতত্ত্ববিদ এবং সাংবাদিক মাসুদ কামাল সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সমালোচনা করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা সত্ত্বেও তারা এ ব্যাপারে অনেকটাই উদাসীন।”
মশা নিধনে তিনি সবার সমন্বিত
উদ্যোগের সুপারিশও করেন।
ওয়েবিনারে সিজিএস চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী নগরীর মশা সমস্যার ব্যাপকতা, সমস্যার কারণ এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
এতে বলা হয়, মশা নিবারণে সিটি করপোরেশনের জনবল সমস্যা, বিশেষ
করে কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
পাশাপাশি মশা নিধনে উপযোগী যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতার কথাও বলা হয় এই প্রতিবেদনে।
কীটতত্ত্ববিদ মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন,
“মশক নিবারণে উপকরণ ব্যবহারের আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকায় জনগণকে এ বিষয়ে
সচেতন করা যাচ্ছে না।”
সরকারি প্রতিষ্ঠানেই সবচেয়ে বেশি মশা জন্মে জানিয়ে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, “বিশেষ করে সরকারি অফিসগুলোর ছাদ অপরিষ্কার
থাকা, বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়িগুলো
দিনের পর দিন পড়ে থাকা এবং বিআরটিসির ডিপোগুলোতে পড়ে থাকা বাসেও অধিক মশা জন্ম নেয়।”
এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের যথাযথ উদ্যোগ না থাকায় মশা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে
তিনি মনে করেন।
ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গর্ভনেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর
রহমান।