সেদিন তিনি বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
স্বাধীতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দশ দিনের অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় দিনের সব আয়োজন ছিল সেই সাতই মার্চের অগ্নিঝরা ভাষণের প্রেক্ষাপট ঘিরে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এই আয়োজনে বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠান সীমাবদ্ধ ছিল টেলিভিশন-বেতার-অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচারে। এদিনের থিম ছিল ‘মহাকালের তর্জনী’।
বিকাল সোয়া ৫টায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে। আবহ সংগীতের পর ৭ মার্চের প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক সাতই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তর্জনী উঁচানো অগ্নিঝরা ভাষণে স্বায়ত্ত্ব শাসনের দাবিতে আন্দোলনরত জনতা মুহূর্তেই পেয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা।
“বঙ্গবন্ধুর তর্জনী আজ বাঙালির কাছে সাহস ও শক্তির প্রতীক। সাতই মার্চের ভাষণে যখন তর্জনী উঁচিয়ে বলেছিলেন- সাত কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বাঙালির স্বায়ত্বশাসনের সংগ্রাম সাতই মার্চে এসে স্বাধীনতার সংগ্রামে রূপান্তরিত হয়েছিল।”
কামাল চৌধুরীর ভাষায়, এই ভাষণ ‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ যুদ্ধাবস্থার ভাষণ’।
“একদিকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর রক্তচক্ষু, তাদের ট্যাঙ্ক কামান প্রস্তুত। অন্যদিকে নিরস্ত্র বাঙালির হৃদয়ে স্বাধীনতার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন অকুতভয় এক মহানায়ক। এই ভাষণে তিনি অবির্ভূত হয়েছেন জাতির একমাত্র প্রতীক হিসাবে। সেই ভাষণের পর ছয় দফার ভিত্তি আরও মজবুত হয়, যা বাঙালিকে স্বায়ত্ত্ব শাসনের দাবি থেকে স্বাধীনতার পটভূমিতে নিয়ে এসেছিল।”
কামাল চৌধুরী বলেন, “একটি তর্জনী একটি জাতির মুক্তির অনুরণন, মহাকালের সেই তর্জনী-দিশায়-মুজিব চিরন্তন।”
এদিন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য অংশে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুনসেনের ধারণ করা ভিডিও বার্তা দেখানো হয়।
পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী এই উদযাপনের উপলক্ষে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান। এত বড় আয়োজনে মহামারীর কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
হুনসেন বলেন, “এমন একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের জনগণের সুস্বাস্থ্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। প্রয়াত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভিশনারি নেতৃত্ব অনুসরণ করে গত দশকগুলোতে সব অর্জনের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন।”
ষড়যন্ত্রে পা দেননি বঙ্গবন্ধু
দ্বিতীয় দিনের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইতিহাসবিদ আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দিন।
তিনি বলেন, বাঙালী জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানী ক্ষমতালিপ্সু রাজনীতিক ও সেনাবাহিনী ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসাবে চিহ্নিত করতে চেয়েছিল। এর মাধ্যমে তারা বাঙালির ওপর চরম সামরিক নিপীড়ন চালানোর পথ বৈধ করা এবং এর পেছনে বৈশ্বিক সমর্থন আদায় করতে চেয়েছিল।
“কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরেছিলেন। ৭ মার্চের ভাষণে তিনি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য ইঙ্গিত দিলেও স্পষ্ট ঘোষণা দেননি। আবার তিনি পালিয়ে না গিয়ে সরাসরি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা দিয়ে প্রমাণ করেছেন- বাঙালি পালিয়ে যাওয়ার জাতি নয়।“
বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণের পটভূমি তুলে ধরে তিনি বলেন, ৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের নির্বাচনে ৩১৩টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৮৮টি আসন পায়। আওয়ামী লীগ পশ্চিম পাকিস্তানে এবং পিপলস পার্টি পূর্ব পাকিস্তানে কোনো আসন পায়নি।
ভোটের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পশ্চিম পাকিস্তানে শতকতা ৮৫ দশমিক ৫ জন ইসলামী প্রজাতন্ত্র, একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতবিরোধী অবস্থানের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। পক্ষান্তরে পূর্ব পাকিস্তানের ভোটদাতাতের শতকরা ৭৪ জন ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, একটি কনফেডারেশন এবং ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পক্ষে ভোট দেন।
“নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে একজন বিদগ্ধ পণ্ডিত মন্তব্য করেন, পাকিস্তানের প্রথম নির্বাচন প্রমাণ করল, ইহাই অবিভক্ত পাকিস্তানের শেষ নির্বাচন।”
গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসারে, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কেন্দ্রে সরকার গঠন করার কথা। কিন্তু বাধ সাধলেন পিপলস পার্টির ক্ষমতালিপ্সু নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো।
ওই সময় বঙ্গবন্ধু দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করলেন, আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। এই দলই সরকার গঠন করবে এবং সংবিধান রচনা করবে। ভুট্টোর পক্ষে ছিল তার মতই আরেক অশুভ শক্তি পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ৭০ এর নির্বাচনের ফলাফল তাদের জন্য ছিল আকস্মিক অভিঘাত। তারা এই ফলাফলকে বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করে। বাঙালি রাজনীতিবিদরা সেনাবাহিনীকে আদেশ করবে- এটা তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি।
ইয়াহিয়া খান, ভুট্টোসহ অন্যদের ঢাকায় আসতে হবে- এটা নিশ্চিত হতে চাইলেন বঙ্গবন্ধু। ১২ জানুয়ারি ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এসে আলোচনা শুরু করলেন। ২৭ জানুয়ারি ভুট্টোও ঢাকায় আসে শেখ মুজিবের সঙ্গে সংবিধান প্রণয়নের ব্যাপারে আলোচনায় মিলিত হন। ছয় দফা ভিত্তিক সংবিধানে কোনো আপত্তি করবেন না বলেও নিশ্চিয়তা দেন। তবে সেই সহযোগিতার বিনিময়ে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদসহ চারটি মন্ত্রী পদ তিনি চান। বঙ্গবন্ধু তার ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
অধিবেশন আহ্বানে ইয়াহিয়া খানের গড়িমসি থেকে বঙ্গবন্ধু ধারণা করতে পারেন যে, সামরিক জান্তারা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ষড়যন্ত্র করছে।
ওই অবস্থায় ফেব্রুয়ারির শুরুতে বঙ্গবন্ধু দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে মিলিত হন এবং এক তরফা স্বাধীনতা ঘোষণার সম্ভাব্যতা যাচাই করেন। ঘোষণা বাস্তবায়নে কী কী পদক্ষেপ প্রয়োজন হতে পারে, সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রোমণ কতটুকু ভয়াবহ হতে পারে এবং জনগণের তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কতটুকু আছে তা বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করেন।
ফেব্রুয়ারি ১৩ তারিখ ইয়াহিয়া খান ঘোষণা দেন, মার্চের ৩ তারিখ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন হবে। তবে অধিবেশনের আগেই সংবিধান নিয়ে বোঝাপড়া না হলে ঢাকায় আসতে অস্বীকৃতি জানান ভুট্টো।
ভুট্টোর হুমকি ও ভারতের সঙ্গে উত্তেজনাকে ছুতো হিসাবে কাজে লাগিয়ে ইয়াহিয়া খান অধিবেশন স্থগিত করে দেন এবং বেলুচিস্তানের কসাই খ্যাত লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানকে গভর্নর ঘোষণা করেন।
তখনই সারা পূর্ব পাকিস্তানে জনরোষ আগ্নেয়গিরির রূপ নেয়। জানগণ রাস্তায় নেমে ‘স্বাধীনতা, স্বাধীনতা’ বলে চিৎকার শুরু করে।
পহেলা মার্চের ভাষণে ইয়াহিয়া খান সংবিধান সংকটের জন্য শেখ মুজিবকে দায়ী করেন এবং দেশের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য শক্তি প্রয়োগের হুমকি দেন।
মার্চের ৩ তারিখে মঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। পাকিস্তান যে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে পারে, বঙ্গবন্ধু তখনই সে আশঙ্কা করেছিলেন। ওই পরিস্থিতিতে আবারও ভুট্টোর সঙ্গে আলোচনার জন্য পাকিস্তানি নেতারা চেষ্টা করলে বঙ্গবন্ধু তা প্রত্যাখ্যান করেন।
আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দিন বলেন, সাতই মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা জন্য বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল। কিন্তু তা করেননি। কারণ আন্তর্জাতিক আইনে এক তরফা স্বাধীনতা ঘোষণার স্বীকৃতি ছিল না। এটাকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ’ বলে গণ্য করা হতো এবং জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে দ্বিধাবোধ করত।
“ইয়াহিয়া খানের কৌশলই ছিল বঙ্গবন্ধুকে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণায় ঠেলে দেওয়া, যাতে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগে শক্তিপ্রয়োগের সুযোগ পায়। কিন্তু তিনি সেই ফঁদে পা দেননি। ফলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যখন নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, বিশ্বজনমত তখন ধিক্কার দেয়। বাংলাদেশের সমর্থনে এগিয়ে আসে।
“সিআইএর প্রতিবেদন অনুযায়ী মধ্য মার্চ বঙ্গবন্ধু একটি বিদেশি সংস্থাকে বলেছিলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী শক্তিপ্রয়োগের চেষ্টা করলে তিনি সাথে সাথে স্বাধীনতার ঘোষণা করবেন। তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সামরিক অভিযান শুরু করার সাথে সাথেই তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম ঘোষণা করেন।”
সাংস্কৃতিক পর্ব
অনুষ্ঠানের শুরুতে দেখানো হয় ভিয়েতনামের শিল্পীদের সংস্কৃতিক পরিবেশনার ভিডিওচিত্র। এছাড়া ছিল মুজিব চিরন্তন থিমের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও। সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে আসে দেশীয় শিল্পীদের পটের গানের পাঁচটি উপস্থাপনা।
সাংস্কৃতিক পর্বে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গানের পরিবেশনায় অংশ নেন নতুন প্রজন্মের শিল্পী অবন্তী সিঁথি। এই পর্বে আরও ছিলেন নকিব খান, কুমার বিশ্বজিৎ, সামিনা চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছিল একটি কোরাস সঙ্গীত।
শুরুতেই –‘হে বন্ধু, বঙ্গবন্ধু, তোমার কালো ফ্রেমের চশমাটা’ গানের সুর নিয়ে আসেন কুমার বিশ্বজিৎ।
‘বঙ্গবন্ধু তুমি একটি দেশ, লাল-সবুজের পতাকা, বঙ্গবন্ধু তুমি একটি ভাষণ, চেতনায় জেগে ওঠা… গানটি শোনা যায় অবন্তীর কণ্ঠে।
সাতই মার্চের ভাষণের ওপর ভিত্তি করে লাইট ও সাউন্ড শোও পরিবেশিত হয় অনুষ্ঠানে। দুই প্রজন্মের শিল্পীদের মেলবন্ধনে মিশ্র মিউজিকের পরিবেশনা ছিল অনুষ্ঠানের শেষ দিকে।
প্রতিটি পরিবেশনার প্রতিপাদ্য ছিল সাতই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর সেই সাহসী তর্জনী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে হবে ১০ দিনের অনুষ্ঠান। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
তৃতীয় দিনের থিম ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘মুজিব চিরন্তন’
প্রতিপাদ্যে দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার তৃতীয় দিনের (১৯শে মার্চ) থিম ‘যতকাল রবে পদ্মা
যমুনা’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত
এ অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল সাড়ে ৪টায়, শেষ হবে রাত ৮ টায়। মাঝে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে
৬টা পর্যন্ত ৩০ মিনিটের বিরতি। প্রথম পর্বে আলোচনা এবং দ্বিতীয় পর্বে থাকবে সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠান।
জাতীয় সংগীত, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ
থেকে পাঠ, মুজিববর্ষের থিম সংগীত, ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’ শীর্ষক ভিডিও প্রদর্শন এবং
স্বাগত সম্ভাষণের পর থিমভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেবেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
আলোচনা পর্বে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সের্গেই ভি লাভরফের ধারণ করা শুভেচ্ছা বার্তা দেখানো হবে। পরে অনুষ্ঠানের সম্মানিত
অতিথি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা
রাজাপাকসে বক্তব্য দেবেন। এরপর অতিথিদের
দেওয়া হবে ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধা-স্মারক।
অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা পর্ব শেষ হবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে
থাকবে বন্ধু রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের
ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও, ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’ থিমের ওপর সিজি অ্যানিমেশন ভিডিও,
কবিতা আবৃত্তি, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ওপর লোকসংগীত পরিবেশনা, নৃত্যনাট্য, সন্ধ্যা
মুখোপাধ্যায়ের গান। দুই প্রজন্মের শিল্পীদের মেলবন্ধনে মিশ্র মিউজিক পরিবেশনার মধ্য
দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।