জার্মানির
সম্প্রচার মাধ্যম এনডিআরের বরাত দিয়ে ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সেদেশের উত্তরাঞ্চলের গ্রাইফজভালড
টিচিং হসপিটালের গবেষকরা শুক্রবার ওই ঘোষণা দেন।
গবেষকরা
বলছেন, কী কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার পর কিছু মানুষের দেহে অস্বাভাবিকভাবে
রক্ত জমাট বাঁধছে, তার কারণ তারা খুঁজে বের করতে পেরেছেন।
গবেষণায়
তারা দেখেছেন, টিকা নেয়ার পর কীভাবে অতি অল্পসংখ্যক রোগীর মস্তিষ্কের শিরায় রক্ত জমাট
বাধার ওই বিরল ঘটনাটি ঘটে।
এনডিআরের
প্রতিবেদনে বলা হয়, খুবই প্রচলিত ওষুধ ব্যবহার করে এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার
পদ্ধতিও এ গবেষক দল খুঁজে পাওয়ার কথা বলেছে।
গ্রাইফজভালড
হসপিটাল, রাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা পল এরলিশ ইনস্টিটিউট (পিইআই) এবং
অস্ট্রিয়ার চিকিৎসকদের যৌথ উদ্যোগে এই সাফল্য মিলেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
তবে
যে রোগীদের ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার প্রমাণ মিলবে, শুধু তাদেরকেই চিকিৎসা দেওয়া
সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ এ মুহূর্তে নেই।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার সম্পর্ক নেই: ইএমএ
জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইতালিতেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা স্থগিত
এরইমধ্যে
জার্মান রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন ফর থ্রম্বোসিস অ্যান্ড হেমোস্ট্যাসিস-এর এই গবেষণার খবর
ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রিয়ায়
সম্প্রতি মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে একজন সেবিকার মৃত্যু হয়, যিনি অ্যাস্ট্রাজেনেকার
টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। এ নিয়ে শঙ্কা তৈরির প্রেক্ষাপটে জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি
দেশে ওই টিকা ব্যবহার স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) থেকে বলা হয়, তাদের
হাতে আসা তথ্য পর্যালোচনায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সঙ্গে টিকার স্পষ্ট কোনো যোগসূত্র
পাওয়া যায়নি।
এরপর
নিজেদের নীতিমালা হালনাগাদ করে জার্মানি শুক্রবার থেকে আবার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা
ব্যবহার শুরুর ঘোষণা দেয়।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার
টিকা নেওয়ার পর মাথা ধরে থাকা, ঝিমুনি বা চোখে ঝাপসা দেখার মতো উপসর্গ যদি তিন দিনের
বেশি স্থায়ী হয় তাহলে রোগীর মেডিকেল পরীক্ষা করানো দরকার বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।