মুক্তিযুদ্ধে
ভারতের সাহায্যের কথা উল্লেখ করে শনিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, “বন্ধুপ্রতীম ভারতের
প্রধানমন্ত্রীর আগমনের বিরোধিতা করা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী।”
কেন্দ্রের
পরিচালক শাহিদুল হাসান খোকন স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের
মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে সাম্প্রদায়িক
অপশক্তিগুলো ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
”এই
অপশক্তিগুলো কেবল মুক্তিযুদ্ধের মহান চেতনাকেই নস্যাৎ করতে উদ্যত নয়; তারা বাংলাদেশেকে
বন্ধুহীন-বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করতেও অতিমাত্রায় সক্রিয়।”
সাম্প্রতিক
সময়ে ’পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা ও বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টাকারী’ ওই মহলের বিরুদ্ধে দেশের
অসাম্প্রদায়িক-প্রগতিশীল মানুষদের মত সিবিআইআর গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে বিবৃতিতে জানানো
হয়।
সেখানে
বলা হয়, “ঐতিহাসিক বন্ধনে আবদ্ধ চিরবন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মাঝে অকৃত্রিম
এক সেতুবন্ধন রচনায় নিবেদিত সিবিআইআর অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, গত ১২
মার্চ ২০২১ তথাকথিত ‘বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ’ এর ব্যানারে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে
এক বিক্ষোভ মিছিল হয়।
“যেখানে
বক্তারা অত্যন্ত আপত্তিকরভাবে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর রাষ্ট্রীয়ভাবে আমন্ত্রিত অনুষ্ঠানে অতিথি ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর
আসন্ন বাংলাদেশ সফর প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।”
মোদীর
আগমন প্রতিহত করার ঘোষণা ‘প্রকারান্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মাহুতি দেওয়া অগণিত ভারতীয়
বীর সেনাদের প্রতিও চরম অশ্রদ্ধা’ বলে মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে।
এসব
বক্তব্য ও কর্মসূচিকে ‘দেশবিরোধী অপতৎপরতার অংশ’ হিসাবে চিহ্নিত করে সিবিআইআর বলছে,
“মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে যে সমৃদ্ধি ও স্বাতন্ত্র্য নিয়ে যেভাবে ঘুরে
দাঁড়াতে পেরেছে তাকে অর্থবহ ও টেকসই করতেও এসব অপশক্তির বিষদাঁত উপড়ে ফেলা জরুরি। আমরা
সরকারকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”