শনিবার নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, ডাকাতি
মামলার গ্রেপ্তার দুই আসামি জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
দিয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিকে নগন ইউনিয়নের টুমচর
সরদার কান্দি গ্রামের ইদ্রিস সরদারের ছেলে কালাচান সরদার (৩৫), একই ইউনিয়নের আলী মাদবর
কান্দি গ্রামের ওয়াব মাদবরের ছেলে বাবুল (৪০), বিকে নগর মুন্সি কান্দি গ্রামের জনু
ফকিরের ছেলে বাহাদুর ফকির (৩৮) এবং ডাকাতি করা স্বর্ণ কেনার অপরাধে বড় কৃষ্ণনগরের বিরেশ
বাইনের ছেলে বিষু বাইন (৩৪)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ডাকাতির পর অজ্ঞানামাদের আসামি
করে মামলা করা হয়।
“পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের দুইজন
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি দুইজনের জন্য আদালতে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।”
গত ২০ ফেরুয়ারি রাত ১টার দিকে জাজিরা উপজেলার বিকে নগর টুমচর সরদার কান্দি
গ্রামের সাহেব আলী সরদারের বাড়িতে অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ জন ডাকাত হানা দেয়। ডাকাত
দল ওই বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৭০ হাজার টাকা,
তিনটি মোবাইল, একটি ঘড়ি এবং একটি টর্চ লাইটসহ মোট ৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে
যায়।
পর দিন সাহেদ আলী সরদার জাজিরা থানায় একটি মামলা করেন।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যামে গত শুক্রবার রাতে জাজিরা উপজেলা বিকে নগর
আনন্দ বাজারে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে কালাচান মাদবর, বাবুল সরদার, বাহাদুর ফকির, তাদের
তথ্য অনুযায় বিষু বাইনকে গ্রেপ্তার করে বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
মামলার বাদী ও তাহার পরিবাররের শনাক্ত মতে একটি সোনার চেইন, দুইটি আংটি
এবং এক জোড়া কানের দুলসহ অলঙ্কার বিক্রির ২৮ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।
বাকি বাবুল মাদবর এবং বিষু বাইনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো
হয়েছে।
অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত আছে বলেন তিনি।