শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ৬৫
বছর বয়সী ওই কৃষকের মৃত্যু হয়।
নিহত মোসলেম শেখ মাগুরা সদর উপজেলার ধর্মদাহ গ্রামের বাসিন্দা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী জানান, গত ১০ মার্চ ক্ষেতের
ফসল নষ্ট করার অভিযোগে মোসলেম শেখের দুইটি ছাগল তার প্রতিবেশি নজরুল শেখ স্থানীয় খোঁয়াড়ে
দিয়ে আসেন।
“মোসলেম ছাগল ফিরিয়ে আনতে গেলে অবৈধ খোয়াড় মালিক কালাম শেখ তার
কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন।
“ধার-দেনা করে ৩শ’ টাকা জোগাড় করে মোসলেম খোঁয়াড় মালিককে দিয়ে
তার ছাগল দুটি ফেরত চান। অভিযোগ উঠেছে, এতে খোয়াড় মালিক কালাম ক্ষিপ্ত হয়ে মোসলেম
শেখকে গালমন্দ করে ঘাড়ধাক্কা দেন।”
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এ অপমান সহ্য করতে না পেরে’ সেখান থেকে
ফিরে মোসলেম শেখ বাড়ির পেছনে বাগানের এক গাছের ডালে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার
চেষ্টা করেন। তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়। শনিবার সকালে মারা যান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জানান, এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার
অভিযোগে সদর থানায় দুইজনের নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা
চালাচ্ছে।
স্থানীয় শত্রুজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সনজিৎ বিশ্বাস বলেন,
ওই গ্রামে কালাম শেখ নামে কাউকে খোয়াড় ইজারা দেওয়া হয়নি। কালামসহ একটি সংঘবদ্ধ
চক্র অবৈধভাবে অন্যের গবাদিপশু আটকে রেখে জোর করে ইচ্ছামাফিক অর্থ আদায় করছে।
“খোয়াড়ে ছাগল আটকে রেখে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের জন্য কালাম শেখ
মোসলেম শেখ নামের এক বৃদ্ধ কৃষককে অপমান করায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।”
ওই খোয়াড় মালিকের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ এবং প্রশাসনের পক্ষ
থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তবে নিহত মোসলেম শেখকে অপমান করার কথা অস্বীকার করে কালাম শেখ
বলেন, সরকারি অনুমোদন না থাকলেও স্থানীয় মেম্বর, চেয়ারম্যানের মৌখিক অনুমতি নিয়ে
তিনি খোয়াড় পরিচালনা করে আসছেন।