শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশের পথে রওনা হন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশিসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমানবন্দর থেকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী সরাসরি চলে যান সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে, সেখানে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শুক্রবার বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন হোটেল সোনারগাঁওয়ে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজাপাকসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে।
সন্ধ্যায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বল রুমে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজে যোগ দেন মাহিন্দা রাজাপাকসে।
সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠকের পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে ৬টি এমওইউ স্বাক্ষর করেন।
উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে জোর রাজাপাকসের
বাণিজ্যের নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনে ‘একমত’ রাজাপাকসে-হাসিনা
বিকালে মাহিন্দা রাজাপাকসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যায় কলম্বোর পথে রওনা হন।
শ্রীলঙ্কার শিক্ষামন্ত্রী, আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিমন্ত্রী, তাঁত ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী, গ্রামীণ গৃহায়ন ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী শিল্প প্রতিমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ২৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এই সফরে প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের সঙ্গে ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের দশ দিনব্যাপী আয়োজনের সূচনা হয়েছে গত ১৭ মার্চ, জাতির জনকের জন্মদিনে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে তার সমাপ্তি হবে।
প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বাংলাদেশের এ উদযাপানের সঙ্গী হচ্ছেন। আয়োজনের প্রথম দিন বুধবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ।
এছাড়া নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী ২২ মার্চ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ২৪ মার্চ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসবেন।