কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আগামী মঙ্গলবার কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে
প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ২৭ মার্চ দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি
হবে তারা। ২৯ তারিখ ফাইনাল।
ভারতের আইলিগের দল কলকাতা মোহামেডান আগেভাগে ছেড়ে দেওয়ায় জামাল শুক্রবার দেশে
ফিরেছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দলের সঙ্গে শেষ মুহূর্তে যেতে না পারা রহমত মিয়াও
রয়েছেন দেশে। দুজনকে একসঙ্গে পাঠানো হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন
ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ।
“আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী
আগামী সোমবার সকালের ফ্লাইটে জামাল নেপালে রওনা দিবে। একই দিনে রহমত মিয়াও তার সঙ্গে
যাবে, যদি তার কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। সেখানে গিয়ে নিয়মমাফিক দুজনের আবারও
কোভিড-১৯ পরীক্ষা হবে। নেগেটিভ হলে তারা খেলতে পারবে।”
জামালকে প্রথম ম্যাচে পাওয়া নিয়ে আশাবাদী জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। তবে
নতুনদের সুযোগ দেওয়ার ভাবনা বরাবরের মতোই জানালেন এই ইংলিশ কোচ।
“আগের দিন এলেও সে কিরগিজস্তানের
বিপক্ষে খেলতে পারবে। তবে আমার পরিকল্পনা ফাইনালের আগের দুই ম্যাচের যে কোনো একটিতে
তাকে খেলানো।”
ফাইনালে উঠতে কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য
মহাগুরুত্বপূর্ণ। এ ম্যাচে জামালকে খেলানোর জন্যই এত আয়োজন বলে জানালেন বাফুফের সাধারণ
সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
“জামালকে প্রথম ম্যাচ
থেকে খেলানোর চিন্তা করেই তো এত কষ্ট করা। তাকে কলকাতা থেকে নিয়ে এলাম। দেশে দুদিন
বিশ্রাম দেওয়া হলো। যেহেতু সোমবার সকালের ফ্লাইটেই সে নেপালে যাবে, ওখানে গিয়ে কোভিড-১৯
টেস্টের ফলও দিনের দিন পেয়ে যাবে। নেগেটিভ হলে প্রথম ম্যাচে খেলার ক্ষেত্রে আশা করি
কোনো বাধা থাকবে না।”