ঘরের মাঠে শনিবার ৪-০ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। প্রথমার্ধে অন্য গোলটি করেন সের্গে জিনাব্রি। এই জয়ে টানা নবম শিরোপার পথে চার পয়েন্টে এগিয়ে গেল বায়ার্ন।
গত নভেম্বরে আসরের প্রথম দেখায় স্টুটগার্টের মাঠ থেকে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল দলটি।
ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আগের ম্যাচে লাৎসিওকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে ওঠা বায়ার্ন। স্টুটগার্টের জাপানিজ মিডফিল্ডার ওয়াতারু এন্দোকে মারাত্মক ট্যাকল করে প্রথমে হলুদ কার্ড পান আলফুঁস ডেভিস। ভিএআরের সহায়তায় সিদ্ধান্ত বদলে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
দুই মিনিট পর প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের দারুণ হেড রুখে দেন মানুয়েল নয়ার। এরপর আর দাঁড়াতেই পারেনি সফরকারীরা। লেভানদোভস্কি-জিনাব্রি ছয় মিনিটের ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায় তাদের রক্ষণ।
১৭তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে নিচু ক্রস দেন জিনাব্রি। গায়ের সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন লেভানদোভস্কি।
এই গোল দিয়ে বুন্ডেসলিগায় সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাবেক জার্মান ফরোয়ার্ড ক্লাউস ফিশারকে ছাড়িয়ে যান লেভানদোভস্কি। প্রতিযোগিতায় পোলিশ ফরোয়ার্ডের এটি ২৬৯তম গোল। তার চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল জার্ড মুলারের, ৩৬৫টি।
পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। দারুণ দলীয় বোঝাপড়ায় জিনাব্রিকে বল বাড়ান লেরয় সানে। বাম পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন জার্মান ফরোয়ার্ড।
বুন্ডেসলিগায় স্টুটগার্টের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখের ৪-০ ব্যবধানের জয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন সের্গে জিনাব্রি (ডানে)।
পরের মিনিটে আবারও জালের দেখা পান লেভানদোভস্কি। ডান প্রান্ত থেকে টমাস মুলারের উঁচু ক্রসে অনেকটা লাফিয়ে ব্যবধান আরও বাড়ান গতবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া গোলরক্ষকের কিছুই করার ছিল না।
৩৯তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন লেভানদোভস্কি। ডি বক্সের মাঝ থেকে বাম পায়ের নিচু শটে ব্যবধান ৪-০ করে দেন ৩২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার।
আসরে এটি তার ৩৫তম গোল। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার গোল হলো ৪২টি।
৬৩তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বাঁজামাঁ পাভার্দের বাড়ানো বল ফাঁকায় পেয়ে উড়িয়ে মারেন লেভানদোভস্কি। নয় মিনিট পর ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সানের উঁচু শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ব্যবধান বাড়েনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও অধিকাংশ সময় বল দখলে রাখলেও আক্রমণে সুবিধা করতে পারেনি স্টুটগার্ট। ম্যাচে ৫৮ শতাংশ বলের দখল রেখে ১২টি শট নেয় তারা, যার চারটি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু নয়ার বাধা এড়াতে পারেনি তারা।
২৬ ম্যাচে ১৯ জয় ও চার ড্রয়ে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন। সমান ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লাইপজিগ।
২৬ ম্যাচে অষ্টম হারের তেতো স্বাদ পাওয়া স্টুটগার্ট ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে অষ্টম স্থানে।