রোববার
যশোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এ রায় দেন বলে
জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম ইদ্রিস আলী।
দণ্ডপ্রাপ্তরা
হলেন, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হাশিমপুর সাহাপাড়ার রেজওয়ান খানের ছেলে তহিদুর
রহমান খান এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার বোটপুর গ্রামের দোলাল শেখের ছেলে আব্দুল
মালেকুর ওরফে মালেক শেখ।
মামলার
বিবরণ থেকে পাবলিক প্রসিকিউটর ইদ্রিস আলী জানান, ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর
বাঘারপাড়া থানা পুলিশ একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারসহ দুইজনকে আটক করে। ওই দু’জনের
বিরুদ্ধে বাঘারপাড়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করা হয়।
৪
সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে বাঘারপাড়া থানার পুলি গোপন সূত্রে জানতে পারে, জব্দ করা
প্রাইভেটকারের ভেতর সোনার বার রয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ
সুপারকে অবহিত করে থানা পুলিশ।
পরে
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে গভীর রাতে বাঘারপাড়া থানা ভবনের সামনে
গাড়িটি তল্লাশি করা হয়। এ সময় গাড়ির গিয়ারবক্সের ভেতর থেকে ১১০টি সোনার বার উদ্ধার
করা হয়। যার ওজন ১২ কেজি ৮৩০ গ্রাম।
এ
ঘটনায় বাঘারপাড়া থানা পুলিশের তৎকালীন এসআই ছামেদুল হক থানায় মামলা করেন। এ মামলা
তদন্ত করেন ডিবি পুলিশের তৎকালীন এসআই আবুল খায়ের মোল্যা। তিনি আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
আদালত
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের প্রত্যেককে
একই সাথে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করাও হয়েছে।