এক শিশুর লাশ উদ্ধার হলেও অপর শিশুর লাশ সন্ধানে রোববার রাতে বালু নদীতে অভিযান চালানো হয়।
নিহত শিশুরা হল, নগরীর পূর্ব কলমেশ্বর এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিক মো. হানিফ মিয়ার ছেলে নিহাদ (৩) এবং একই এলাকার পোশাক শ্রমিক নবাব আলীর আড়াই বছরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুমু ওরফে রুবা।
গ্রেপ্তার মো. আলী আকবর (২৪) শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার পুটিয়া গ্রামের আলী জব্বার সর্দারের ছেলে এবং আনোয়ার হোসেন (৩০) গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ খাইলকুর বাহার মার্কেট এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে। আকবর গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের হায়দারাবাদে ভাড়া থাকেন।
গত ১৭ মার্চ থানার বাহার মার্কেট এলাকা থেকে আকবরকে এবং ১৯ মার্চ তারগাছ এলাকা থেকে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রোববার রাতে গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, গ্রেপ্তাররা দুটি অপহরণের দায় স্বীকার করেছে। শিশু নিহাদের হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে তারা দুটি শিশুর জামা-কাপড়ের সন্ধান দেয়। পরিবারকে এসব জামা-কাপড় দেখিয়ে তারা মুক্তিপণ আদায় করার পরিকল্পনা করছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় বলেন তিনি।
তিনি জানান, গ্রেপ্তাররা সুমাইয়াকে মেরে বস্তায় ভরে তুরাগের শাখা বালু নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তার লাশের এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে লাশটি উদ্ধারে দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় বালু নদীতে তল্লাশি চলে।
রোববার রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত নদী থেকে সুমুর লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।
গাছা থানার এসআই উৎপল কুমার সাহা জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা সোয় ১১টার দিকে নগরীর পূর্ব কলমেশ্বর এলাকার সততা মিনি সোয়েটার গেট এলাকা থেকে তিন বছরের ছেলে নিহাদ খেলার সময় অপহৃত হয়।
এর তিন দিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শ্যামপুর থানার তিনতলা বিল্ডিংয়ের পানির ট্যাংকের ভেতর থেকে অপহৃত শিশুর নিহাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ভিক্টিমের জামা-কাপড় দেখে স্বজনরা নিহাদের লাশ শনাক্ত করেন।
তিনি আরও জানান, গত ৯ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় একই এলাকার অ্যারাইভ্যাল গার্মেন্টসের পেছন থেকে সুমাইয়া আক্তার সুমু ওরফে রুবা নামে আড়াই বছরের শিশুটিকে অপহরণ করা হয়।
অপহরণকারীরা শিশু রুবার বাবার কাছে মোবাইল ফোনে পাঁচ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করেন।
এ ঘটনায় ৯ মার্চ রাতে অপহৃত শিশুর বাবা গাছা থানায় একটি মামলা করেন।
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৭ মার্চ পুলিশ প্রথমে অপহরণকারী আকবরকে গ্রেপ্তার করে। আকবরের দেওয়া তথ্যে ১৯ মার্চ তার খালাত ভাই আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।