শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বাংলাদেশের
জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
সোমবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাই
কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ রোববার রাষ্ট্রপতি মো.
আবদুল হামিদকে এই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
শুভেচ্ছা বার্তায় রাষ্ট্রপতির
উদ্দেশে রানী বলেছেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে আপনাকে অভিনন্দন
এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভকামনা জানাতে পেরে আমি আনন্দিত।
”আমাদের অংশীদারিত্বের ভিত্তি
রচিত পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও আবেগের উপর এবং সেটা ৫০ বছর আগে যেমন ছিল এখনও তাই।”
প্রায় দুইশ বছরের ব্রিটিশ
শাসনের অবসানে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম
হয়।ধর্মের ভিত্তিতে সেই ভাগাভাগিতে বাংলাদেশ পড়ে পাকিস্তানের অংশে।
কিন্তু নতুন দেশের শুরু থেকেই
অধিকারের দাবিতে বাঙালিকে নামতে হয় নতুন সংগ্রামে। পরের দুই যুগে তা স্বাধীনতার লড়াইয়ের
রূপ পায়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে
এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞা চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ২৬ মার্চ
প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান।
এরপর নয় মাসের যুদ্ধে ত্রিশ
লাখ শহীদের আত্মদান, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং জাতির অসাধারণ ত্যাগের বিনিময়ে
১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন
সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।
আগামী ২৬ মার্চ শুক্রবার
বাংলাদেশ পৌঁছাচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে। একই সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী।
এই জোড়া উদযাপনে বাংলাদেশে
চলছে দশ ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালা, যাতে প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরাও
সঙ্গী হচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা
জানিয়েছেন।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের
মহামারীর প্রসঙ্গ টেনে ব্রিটেনের রানী তার শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, “আমি আশা করি, কঠিন
একটি বছর পার করার পর আমরা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সুন্দর ভবিষ্যতের
দিকে যেতে পারব।”