ক্যাটাগরি

কোভিশিল্ডের দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়াচ্ছে ভারত

এর আগে ২৮ দিন অর্থাৎ চার সপ্তাহের ব্যবধানে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণের দুই সপ্তাহ পর মানবদেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া শুরু হয়।

ভারতে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে কোভিড-১৯ এর টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। দেশটি তাদের সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, যার স্থানীয় নাম ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকা দিচ্ছে।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট। যেটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে।

এনডিটিভি জানায়, সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্য এবং ইউনিয়ন টেরিটোরিতে চিঠি পাঠিয়ে কোভিশিল্ডের টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

তবে শুধুমাত্র কোভিশিল্ডের টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানো হচ্ছে। কোভ্যাক্সিনের দুই ডোজ টিকার মধ্যে ব্যবধান আগের মতই থাকবে।

ভারতে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে কোভিশিল্ডের টিকা দেওয়া শুরু হওয়ায় অনেকেই এরইমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়ে গেছেন। যেহেতু প্রথমে দুই ডোজের মধ্যে ২৮ দিনের ব্যবধান থাকার কথা ছিল। অর্থাৎ দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার মধ্যেই সরকারের নতুন এ সিদ্ধান্ত এলো।

কেন্দ্র সরকার থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনিজেশন (এনটিএজিআই) এবং ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর কোভিড–১৯, এই দুই জায়গার বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে কোভিশিল্ড টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে।

‘‘গবেষণায় দেখা গেছে, যদি কোভিশিল্ডের টিকার দ্বিতীয় ডোজ ছয় থেকে আট সপ্তাহের ব্যবধানে দেওয়া হয় তবে মানবদেহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অধিক কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। তবে ব্যবধান এর থেকে বেশি করা যাবে না।”

ভারতে জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে চার কোটির বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু তারপরও দেশটিতে পুনরায় রোগের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গত ১৮ মার্চ থেকে দেশটিতে দৈনিক শনাক্ত ৩০ হাজারের উপরে হচ্ছে।

সোমবার দেশটিতে ৪৬ হাজার ৯৫১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।