ক্যাটাগরি

ওজন কমাতে সকালে দুবার নাস্তা

সকালের নাস্তায় দিনের অন্যান্য বেলার
খাবারের তুলনায় ভারী ও পুষ্টিকর খাবার বেছে নেওয়াকে স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করেন
বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে বিপাকক্রিয়ার গতি বাড়ে, লম্বাসময় পেট ভরা থাকে এবং চর্বি ও ক্যালরি
খরচের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।

এই ধারনা অনুসরণ করতে অনেকেই সকালে দুইবার
নাস্তা খান অনেকেই। ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই হালকা কিছু থেকে সামান্য হাঁটাহাঁটি
বা ‘জগিং’ করে এসে আবার ভারী নাস্তা খাওয়া হয়। এতে সকালের খাবারটা ভারী হয়।

স্বাস্থ্য ও ওজন নিয়ন্ত্রণের উপর এর সার্বিক
প্রভাব সম্পর্কে জানানো হলো খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের আলোকে।  

ওজন নিয়ন্ত্রণে: যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ কানেটিকাট’য়ের বিশেষজ্ঞরা
১২টি বিদ্যালয়ের ৬শ’ শিক্ষার্থীকে নিয়ে দুই বছর ধরে গবেষণা চালান এই বিষয় সম্পর্কে
জানতে।

পুরো সময় ধরে তাদের খাদ্যাভ্যাস পর্যবেক্ষণ
করা হয়। এতে বেরিয়ে আছে দৈনিক খাবার গ্রহণের ছয়টি ভিন্ন অভ্যাস।

সেগুলো হল- সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া,
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকাবস্থায় অনিয়মিতভাবে খাওয়া, ঘরে খাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় না
থাকা, বিদ্যালয়ে থাকাকালে অতিরিক্ত খাওয়া, বাসায় উল্টোপাল্টা খাওয়া এবং সকালে দুইবার
নাস্তা খাওয়া।

গবেষকদের দাবি, সকালে হালকা কিছু খাওয়ার
মাধ্যমে বিপাকক্রিয়া সক্রিয় হয়। এরপর এক থেকে দুই ঘণ্টা বিরতির দিয়ে আরেকবার ভারী নাস্তা
খেলে দুপুরের খাবার খাওয়া আগ পর্যন্ত ক্ষুধা অনুভূত হয় না। পাশাপাশি উল্টোপাল্টা ‘স্ন্যাকস’
খাওয়া ইচ্ছা দেখা দেয় না বললেই চলে।

আর গবেষণার শেষে দেখা যায়, যারা সকালের
দুবার নাস্তা খায় তাদের তুলনায় যারা সকালে একেবারেই কিছু খায় না তাদেরই দীর্ঘমেয়াদে
ওজন বেড়েছে বেশি।

দুইবার নাস্তা খাওয়া সঠিক উপায়

প্রথম নাস্তা খেতে হবে ঘুম থেকে ওঠার
এক ঘণ্টার মধ্যে। এরপর বেরিয়ে যেতে পারেন শরীরচর্চায়। হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো, ‘স্ট্রেচিং’,
‘কার্ডিও’ ব্যায়ামই যথেষ্ট এসময়। তবে ভারী ব্যায়ামও করতে পারেন।

শরীরচর্চা শেষে হাতমুখ ধুয়ে এবার বসতে
হবে মূল সকালের নাস্তায়। শরীরচর্চা এ সময় ক্ষুধা তৈরি করবে। ফলে সকালের খেতে ইচ্ছা
না হওয়ার সমস্যাটা থাকবে না। মূল নাস্তায় প্রোটিনের মাত্রা বেশি রাখার পরামর্শ দেন
বিশেষজ্ঞরা।

আসলে বিষয় হল

সকালে দুইবার খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য
বেশ উপকারী হওয়া সম্ভব যদি তা সঠিকভাবে এবং নিয়মিত মেনে চলা হয়। এখানে অবশ্যই খাবারের
পরিমাণের দিকে তীক্ষ্ণ নজর থাকতে হবে। খাবারের তালিকা খুব বেশি জটিল করা যাবে না।

‘লিন প্রোটিন’ বা চর্বি হীন মাংস, ভোজ্য
আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবারগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। আর সকালের ভারী খাওয়ার
পর দুপুর ও রাতের খাবারের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

ক্ষুধা নেই, তবে মজার খাবার পেয়ে জোর
করে দুপুরে কিংবা রাতে বেশি খেলে সবই হবে পণ্ডশ্রম।

আরও পড়ুন

ঘুমের মধ্যে ওজন কমানোর উপায়
 

ওজন কমানোর নাস্তা
 

ওজন কমাতে সকালে অভুক্ত থাকার ক্ষতি
 

ঘুম থেকে ওঠা ও প্রাতরাশের মাঝে আদর্শ বিরতি

সুস্থ থাকতে বিকালের নাস্তা