মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সভা থেকে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজকোর্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের ঘোষণা আসে।
শরীয়তপুর জজ কোর্টের পিপি মির্জা হযরত আলী জানান, শরীয়তপুর জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি এবং তৎকালীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান ও তার ভাই যুবলীগ নেতা মনির হোসেন মুন্সি হত্যা মামলার রায় প্রত্যাখ্যানও করেছে শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতি।
“আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত বর্জন করা হয়েছে।”
আন্দোলনরত আইনজীবীরা বলছেন, রায় ঘোষণা করা বিচারককে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
গত রোববার এ রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত হোসাইন।
রায়ে ৫৩ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনকে যাবজ্জীবন এবং ৩ জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি ৩৯ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। এ রায় বাদীপক্ষও প্রত্যাখান করে উচ্চ আদালতে আপিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
এ মামলায় যাদের বিরুদ্ধে খুনের সরাসরি অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে মামলার দায় থেকে কৌশলে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড ও অব্যাহতি দিয়ে লঘু অপরাধীদের গুরু দণ্ডাদেশ দিয়েছে বলে আইনজীবীদের অভিযোগ।
সকালে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদসহ কার্যকরী কমিটির নেতারাসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার সিদ্ধান্তের রেজুলেশন কপি দেশের ৬৪ জেলা আইনজীবী সমিতি, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে সরবরাহ করা হবে এবং জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত হোসাইনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেন আইনজীবীরা বলে জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ জানিয়েছেন।
নিহত হাবীবুর রহমানের ছেলে ও শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন বলেন, ২০০১ সালে আমি এবং আমাদের স্বজনদের সামনে আমার বাবা ও চাচাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাই কারা এ ঘটনায় জড়িত, তা আমরা দেখেছি। হত্যা মামলার রায়টি আমরা মানতে পারছিন না।
“আসামিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন রায় দেওয়া হয়েছে।”