নোয়াখালীর নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক জয়নাল আবেদীন বুধবার এ আদেশ দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশিদ লাভলু জানান।
মামলার আসামি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে অব্যাহতি দেওযা হয়েছে।
গত বছর ২ সেপ্টেম্বর জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়।
ওই নারী বাদী হয়ে এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ধর্ষণ, নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক তিনটি মামলা করেন।
পিবিআই তদন্ত শেষে তিনটি মামলায়ই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় গত ১৫ ডিসেম্বর।
এর মধ্যে ধর্ষণ মামলায় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। পর্নোগ্রাফি মামলায় এখনও অভিযোগ গঠিত হয়নি।
আইনজীবী মামুনুর রশিদ লাভলু বলেন, “বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলায় প্রধান আসামি দেলওয়ার বাহিনীর দেলওয়ার হোসেনসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। তাছাড়া আদালত মামলার আরেক আসামি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে অব্যাহতি দিয়েছে।”
বেগমগঞ্জে সেই বিবস্ত্র করে ভিডিও: ধর্ষণ মামলায় অভিযোগ গঠন
নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
তিনি বলেন, অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় ১৩ আসামির মধ্যে নয়জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য চারজন পলাতক রয়েছেন।
দেলোয়ার হোসেন ধর্ষণ মামলায় আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন।