বুধবার
সকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন,
“আপনারা দেখুন, করোনা ভীষণভাবে ছড়িয়ে পড়েছে! আবার এটার জন্য পুরস্কার নাকি পেয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী, করোনাকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।
“অথচ আজকে
সারা বাংলাদেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে প্রয়োজনীয় কাজগুলো
করার দরকার ছিল, সে সমস্ত কোনো কাজই তারা করে নাই।”
মির্জা
ফখরুল বলেন, সরকার এখন বলছে, ‘আইসিইউতে বেড নেই’। তাহলে একবছর ধরে সরকার কি করল? কেন
আইসিইউ বেড সংগ্রহ করতে পারল না।
“কেন বাসায়
বাসায় মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে, কেন মানুষের মধ্যে সেই সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলেন না
যে মানুষ সবসময় মাস্ক পড়বে।”
বিএপি
মহাসচিব বলেন, “আমরা কখনো ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে কথা বলি নাই, আমরা অবশ্যই
ভ্যাকসিনের পক্ষে। আমরা যেটা বলতে চেয়েছি যে, আপনারা ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতি
করছেন।
“২ ডলার ৩৩
সেন্ট করে একটা ভ্যাকসিন কেনার কথা সেখানে ৫ ডলার দিয়ে কিনেছেন। অর্থাৎ আপনারা এতো
বড় দুর্নীতি করেছেন!”
সুনামগঞ্জের
শাল্লায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ঘটনার পর ওবায়দুল
কাদের সাহেব বললেন যে, এটা বিএনপি করেছে। ধরা পড়ল কে? যুবলীগের স্বাধীন মেম্বার।”
“সাম্প্রদায়িক
দাঙ্গা, সাম্প্রদায়িক বিনষ্টের সব যা কিছু হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। আমি সেদিন
বলেছি -আপনারা একটা নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখুন যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইদের কত
জমি, কত বাড়ি কারা দখল করে আছে। দেখবেন যে বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের লোকেরা দখল করে আছে।”
ভারত ও
চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভালো বলে সরকার দাবি করলেও রোহিঙ্গা
প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তাদের পক্ষে টানতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।
“কেন?
আপনাদের ব্যর্থতার জন্য, আপনাদের কথা আপনাদের কূটনৈতিক ব্যর্থতার জন্য আজকে সমগ্র
বিশ্বকে আপনাদের পক্ষে আনতে পারেননি।”
জাতীয়
প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘৯০ এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের’ ব্যানারে ‘সামরিক
শাসক এইচ এম এরশাদের ক্ষমতা দখলে ২৪ মার্চ কালো দিবস’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
১৯৮২ সালের
২৪ মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস
সাত্তারকে হটিয়ে সেনাবাহিনী প্রধান এরশাদ ক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসন জারি করেন।
ডাকসুর
সাবেক ভিপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমানের
সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সাবেক ছাত্র
নেতাদের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল
কবির খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জহির উদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম,
সাইফুদ্দিন মনি, খোন্দকার লুতফর রহমান, আজিজুল বারী হেলাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন,
মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের
আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল বক্তব্য রাখেন।