জাতীয় লিগের প্রথম স্তরের ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে সিলেটের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ৫ উইকেটে ২৫০। ৯ রানে এগিয়ে আছে তারা। ১১৮ রানে ব্যাট করছেন জাকির। তার ১৯৩ বলের ইনিংসে চার ১৪টি।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৩০ রান নিয়ে বুধবার দিন শুরু করে সিলেট। ফলো অন এড়াতে তাদের দরকার ছিল আরও ৯৬ রান। সেখানে মাত্র ৪ রান যোগ করতে পারে দলটি।
দিনের তৃতীয় বলেই এনামুল হক জুনিয়রকে ফিরিয়ে দেন মিনহাজুর। বাঁহাতি এই স্পিনার নিজের পরের ওভারে এসে ইবাদত হোসেনকে ফিরিয়ে গুটিয়ে দেন প্রতিপক্ষকে।
৩১ রানে ৪ উইকেট নেন মিনহাজুর। আগের দিন ৪ উইকেট নিয়েছিলেন পেসার মাসুম খান।
২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে এদ্বিতীয় ইনিংসেও সিলেটের শুরুটা ভালো হয়নি। ২৮ রানের মধ্যেই ফেরেন দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ও তৌফিক খান। মাসুমের বলে কট বিহাইন্ড তৌফিক। আব্দুল হালিমের বলে পয়েন্টে মাসুমের হাতে ক্যাচ দেন ইমতিয়াজ।
এরপর প্রতিরোধ গড়েন অমিত হাসান ও জাকির। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন দুজন। তাদের জুটির পঞ্চাশ আসে ৯০ বলে। তারা নিজেরাও পূর্ণ করেন ফিফটি; অমিত ৮৯ বলে আর জাকির ৮২ বলে।
জুটির শতরান স্পর্শ করে ১৬৪ বলে। এরপর আর বেশিদূর এগোয়নি। অমিতকে কট বিহাইন্ড করে ১৯৮ বলে ১১০ রানের জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার মইনুল ইসলাম।
এরপর মূলত একাই লড়ছেন জাকির। জাকের আলির সঙ্গে গড়েন ৫৭ রানের আরেকটি কার্যকর জুটি। কিপার-ব্যাটসম্যান জাকের ফেরেন থিতু হয়ে, ৪১ বলে ১৭। ইনিংস বড় করতে পারেননি আসাদুল্লাহ আল গালিবও।
এর আগেই জাকির প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৬৪ বলে। অলক কাপালিকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বাকি সময় কাটিয়ে দেন তিনি। ৬৯ বলে ২৭ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন দুজন। অধিনায়ক কাপালি ব্যাট করছেন ১৪ রান নিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা বিভাগ ১ম ইনিংস: ৩৭৫
সিলেট বিভাগ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ১৩০/৮) ৬৪.৪ ওভারে ১৩৪(এনামুল জুনিয়র ৩০, খালেদ ৪, ইবাদত ২; হালিম ১২-৩-২৬-০, মাসুম ১৫-৩-৩৪-৪, জিয়াউর ৫-১-১৫-০, মিনহাজুর ১৬.৪-৩-৩১-৪, নাহিদুল ৬-২-৭-০, মইনুল ৫-১-১০-২, রবি ১-০-৩-০)
সিলেট বিভাগ ২ম ইনিংস: (ফলো অন) ৮৩ ওভারে ২৫০/৫ (ইমতিয়াজ ৮, তৌফিক ১১, অমিত ৬৬, জাকির ১১৮, জাকের ১৭, গালিব ১০, কাপালি ১৪*; হালিম ১৮-৫-৪০-২, মাসুম ১৪-৩-৪৬-১, জিয়াউর ৯-২-২১-০, মিনহাজুর ১১-৩-৩৮-০, নাহিদুল ১৬-৩-৪৯-০, মইনুল ৯-১-৩০-২, রবি ৬-০-২১-০)।