ক্যাটাগরি

নিয়োগ-বরখাস্তে এআই: শঙ্কা ব্রিটিশ শ্রমিক ইউনিয়নের

‘দ্য ট্রেডার্স ইউনিয়ন কংগ্রেস’ (টিইউসি) বলেছে, কর্মীদের “অ্যালগরিদম ব্যবহারে নিয়োগ বা বরখাস্ত” করা যেতে পারে, তবে সে ক্ষেত্রে নতুন আইনী সুরক্ষা প্রয়োজন।

সংগঠনটি যে বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে, কোনো “উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ” সিদ্ধান্ত কোনও মানব কর্মীর মাধ্যমে পর্যালোচনার আইনগত অধিকার।

টিইউসির সাধারণ সম্পাদক ফ্রান্সিস ও’গ্র্যাডি বলেছেন, “কর্মক্ষেত্রে এআই উৎপাদনশীলতা এবং জীবন-মান উন্নয়নে জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, ইতোমধ্যে এটি এমন সব সিদ্ধান্তে ব্যবহার করা হচ্ছে যেটি লোকজনের জীবনই বদলে দিচ্ছে – যেমন নিয়োগ ও বরখাস্ত করার বেলায়।

“নিয়ম প্রয়োগে ন্যায্যতা না থাকলে কাজের ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার ব্যাপক বৈষম্য ও অন্যায্য আচরণে রূপান্তরিত হতে পারে, বিশেষত যারা অনিরাপদ কাজ এবং স্বল্পকালীন চুক্তিভিত্তিক কাজে রয়েছেন তাদের জন্য।”

অনেক কর্মক্ষেত্র ইতোমধ্যেই সাধারণ কাজের জন্য স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যেমন, উবার কম্পিউটারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ড্রাইভারদের ট্রিপ সেট করে দেয়, অ্যামাজন তার গুদামগুলিতে কর্মীদের দেখার জন্য এআই মনিটরিং সিস্টেম ব্যবহার করে।

তবে এআই আরও পরিশীলিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয় রয়েছে একে হয়তো আরও গুরুতর, উচ্চ-ঝুঁকির সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজ দেওয়া হবে, যেমন ছাঁটাই বা পদোন্নতির জন্য তালিকা তৈরি করা।

আর সেখানেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে শ্রমিক সংঘটি। শতশত সফল ট্রিপ এবং সর্বোচ্চ রেটিং থাকার পরও স্রেফ শনাক্তের অভাবে উবারের এআই বেশ কিছু চালককে বহিষ্কার করেছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী চালকরা।

উবার অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এর আগে আইবিএম-এর ফেইশল রিকগনিশন সম্পর্কেও অভিযোগ উঠেছিল। মুখ শনাক্তের ওই অ্যালগরিদম তৈরির সময়েই একে “শ্বেতাঙ্গবান্ধব” করে তৈরির অভিযোগ ওঠে। কার্যক্ষেত্রে দেখা গেছে এটি বাদামী বর্ণের বা কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির চেহারা শনাক্ত করছে না। আইবিএম পরে ওই প্রকল্পই বাতিল করে দেয়।

ভুল-শুদ্ধ’র স্পষ্ট রেখা

শ্রমিক সংঘটি এ বিষয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে।

টিউসির ওই গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক, ক্লিস্টারস আইন সংস্থার রবিন অ্যালেন এবং ডি মাস্টার্স বলেছেন, এআই উপকারী হতে পারে, তবে, “ভুলভাবে ব্যবহারের ফলে এটি বিপজ্জনকও হতে পারে”।

এই জুটি যৌথভাবে বলেছেন, “ইতোমধ্যেই মেশিন ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।”

“আমরা যে সংস্কারের প্রস্তাব করছি সেগুলো ব্যবহার করে আইনী কাঠামোয় জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং নির্ভুলতার নিশ্চয়তা দেওয়া দরকার। শুদ্ধ আর ভুলের স্পষ্ট রেখা টানাই আছে। কর্মক্ষেত্রকে মানবিক রাখতে চাইলে ওই সীমা অতিক্রম করা ঠিক হবে না।