বুধবার দেশটির সংসদে এ নিয়ে বিল অনুমোদিত হয় বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
তবে নিউ জিল্যান্ড ও আরও কয়েকটি দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্টিলবার্থ বা মৃতশিশু জন্ম হলে সবেতন ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে।
২০ সপ্তাহ ও এর কিছু বেশি হওয়ার পর গর্ভের শিশু মারা গেলে ওই নিয়ম প্রযোজ্য হত। তবে নতুন আইনে গর্ভকালের যে কোনো সময় যে কোনো দুর্ঘটনাজনিত কারণে দম্পতি তাদের অনাগত সন্তানকে হারালে এই সুবিধা দেওয়া হবে।
সংসদে পাস হওয়া বিলটি আগামী সপ্তাহ থেকে আইন আকারে কার্যকর হবে।
এই বিলের খসড়া করেছিলেন নিউ জিল্যান্ডের সাংসদ গিনি অ্যান্ডারসন “আমার মনে হয় এটা একজন নারীকে সাহস যোগাবে; বিশেষ করে যখন তারা জানে যে শারীরিক ও মানসিক ভাবে এই বিপর্যস্ততা কাটিয় উঠতে তাদের সময় প্রয়োজন।”
এমন একটি আইন করার ক্ষেত্রে নিউ জিল্যান্ডই প্রথম হতে যাচ্ছে বলেও জানালেন তিনি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, অ্যাবরশনের ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকর হবে না। এর আগের বছর অ্যাবরশন অপরাধ নয় জানিয়ে এর আইনি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল দেশটিতে।
নিউ জিল্যান্ড কলেজ অফ মিডওয়াইভসের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ হাজার ৯শ থেকে ১১ হাজার ৮শ গর্ভপাত ও মৃতশিশু প্রসবের ঘটনা ঘটে প্রতি বছর।
৯৫ শতাংশেরও বেশি গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে গর্ভকালের ১২ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভপাত ও মৃতশিশু প্রসব হওয়া খুবই বেদনাদায়ক এই মুহূর্ত যা নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলা বা সহযোগিতা চাওয়া খুব সহজ কিছু নয়।