২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের মাঠে বৃহস্পতিবার ২-০
গোলে জিতেছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধে দমেনিকো বেরারদি দলকে এগিয়ে নেওয়ার
পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চিরো ইম্মোবিলে।
২০০৬ সালে চতুর্থ ও সবশেষ বিশ্বকাপ
জেতা ইতালি পরের দুই আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। আর ২০১৮ আসরে তারা মূল পর্বেই
উঠতে পারেনি।
২০১৮ সালের মে মাসে দায়িত্ব নেওয়া মানচিনির
হাত ধরে দারুণ ছন্দে রয়েছে দলটি। গ্রুপ পর্বে ১০ ম্যাচের সবকটি জিতে ২০২০ ইউরোর মূলপর্বে
পা রাখে তারা।
সেই ছন্দেই বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করল
ইতালি। শুরু থেকে অধিকাংশ সময় বলের দখল রাখা দলটি প্রথম ভালো সুযোগ পায় ম্যাচের একাদশ
মিনিটে। সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো বল দুই ডিফেন্ডারের মাঝে বুক দিয়ে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে
নিলেও ঠিকমত শট নিতে পারেননি ইম্মোবিলে।
ইতালির হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চিরো ইম্মোবিলে।
তিন মিনিট পরেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
ডান প্রান্ত থেকে আলেস্সান্দ্রো ফ্লোরেন্সির থ্রু পাস ধরে এগিয়ে দুরূহ কোণ থেকে উঁচু
শটে লক্ষ্যভেদ করেন সাস্সুয়োলো ফরোয়ার্ড বেরারদি।
এগিয়ে যাওয়ার পর আরও আত্মবিশ্বাসী ফুটবল
খেলতে থাকা দলটি ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে। পাল্টা আক্রমণে মাঝমাঠ থেকে
বল বাড়ান লরেন্সো ইনসিনিয়ে। এবার আর ভুল করেননি ইম্মোবিলে। ক্ষিপ্র গতিতে বাঁ প্রান্ত
দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শটে কাছের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন লাৎসিও ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর উজ্জীবিত ফুটবল খেলে নর্দার্ন
আয়ারল্যান্ড; কিন্তু জালের দেখা মেলেনি।
৫৬তম মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল খেতে
বসেছিল ইতালি। গোলরক্ষককে দুর্বল ব্যাকপাস দেন ডিফেন্ডার মানুয়েল লোকাতেল্লি। কিন্তু
বল জানলুইজি দোন্নারুম্মার কাছে পৌঁছার আগেই পেয়ে যান গেভিন। তার শট পা বাড়িয়ে প্রতিহত
করেন দোন্নারুম্মা।
নির্ধারিত সময় শেষের তিন মিনিট আগে
প্যাডি ম্যাকনায়ার উড়িয়ে মারলে অনায়াস জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে ইতালি।
একই দিন গ্রুপের আরেক ম্যাচে স্বাগতিক
বুলগেরিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সুইজারল্যান্ড।