ক্যাটাগরি

স্বপ্ন পূরণের সেঞ্চুরিতে উইন্ডিজের নায়ক বনার

৭ ঘণ্টার বেশি সময় উইকেটে
কাটিয়ে বনার খেললেন ২৭৪ বলে ১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। বনারের চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞার
ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ দিনের চ্যালেঞ্জ দারুণভাবে উতরে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টের
চতুর্থ ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ২৩৬।

ম্যাচের শেষ দিন শুক্রবার
খেলা শুরু হয়েছিল চারটি ফলের সম্ভাবনা নিয়ে। জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল
এক দিনে ৩৪১ রান। ভীষণ মন্থর হয়ে পড়া উইকেটে রান তাড়ার চেষ্টাও করেনি ক্যারিবিয়ানরা।
লঙ্কান বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও এই উইকেটে পারেননি খুব হুমকি ছড়াতে।

বনার ছাড়াও শেষ দিনে
দারুণ ব্যাট করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফরের আরেক নায়ক কাইল মেয়ার্স। বাঁহাতি
এই ব্যাটসম্যান করেন ফিফটি।

এই দুজনের জুটির আগে
৬৬ রানের কার্যকর এক জুটি গড়েন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও বনার। তিন ঘণ্টার বেশি উইকেটে
কাটিয়ে বাউন্ডারি পাননি ব্র্যাথওয়েট। শেষ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক আউট হন সেই চেষ্টা
করতে গিয়েই। লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার বাঁহাতি স্পিনে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ১২৪
বলে ২৩ রান করে। 

তৃতীয় জুটিতে বনার ও
মেয়ার্স ৩৬ ওভার পার করে দিয়ে অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন ম্যাচের ভাগ্য। ১০৫ রানের এই
জুটি ভাঙে ৫২ রান করে মেয়ার্সের বিদায়ে। পরে জার্মেইন ব্ল্যাকউড কেবল ৪ রান করলেও বনারের
সঙ্গে জুটিতে টিকে থাকেন ১০ ওভারের মতো। ম্যাচে তাই আর নাটকীয়তা হয়নি।

শেষ দিনের নায়ক বনারের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ছবি : উইন্ডিজ ক্রিকেট।  

শেষ দিনের নায়ক বনারের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ছবি : উইন্ডিজ ক্রিকেট।  

ম্যারাথন ইনিংসে বনার
সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ২৪৩ বলে। এরপরও উইকেট না হারিয়ে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন ১৩ চার
ও ১ ছক্কায় ১১৩ করে। ১০ ওভার বাকি থাকতেই ড্র মেনে নেয় দুই দল।

সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর
বনারের উদযাপন ছিল আবেগময়। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার ১১ বছর হওয়ার পর গত মাসে তার টেস্ট
অভিষেক হয় মূল ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ সফরে না আসায়। দুটি টেস্টেই দারুণ ব্যাটিং করে
তিনি হন সিরিজের সেরা। এবার নিজেকে নিয়ে গেলেন আরেকধাপ এগিয়ে।

ম্যান অব দা ম্যাচ হয়ে
৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বললেন, এই সেঞ্চুরির মূল্য তার কাছে কতটা।

“ আমার জন্য এটিই সত্যিই
স্পেশাল। আমার ছেলেবেলার স্বপ্ন এটি এবং সত্যিই ভালো লাগছে এটি করতে পারায়। লঙ্কান
বোলাররা খুব নিয়ন্ত্রিত ছিল, তাই প্রয়োজন ছিল সোজা ব্যাটে খেলার।”

শেষ দিনের পারফরম্যান্সে
শ্রীলঙ্কা হতাশ হতেই পারে। তবে প্রথম ইনিংসে ১০২ রানে পিছিয়ে থাকার পর তারা যেভাবে
ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটিও কম তৃপ্তির নয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস : ১৬৯

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ২৭১

শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস : ৪৭৬

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ৩৭৫, আগের দিন ৩৪/১) ১০০
ওভারে ২৩৬/৪ (ব্র্যাথওয়েট ২৩, ক্যাম্পবেল ১১, বনার ১১৩*, মেয়ার্স ৫২, ব্ল্যাকউড ৪,
হোল্ডার ১৮*; লাকমল ২৫-১০-৩৩-০, বিশ্ব ১৯-০-৭৩-২, এম্বুলদেনিয়া ২৮-৯-৬২-২, চামিরা ১৮-৩-৪৪-০,
ধনাঞ্জয়া ১০-৫-১২-০)।