১৯৭১ সালের এই
দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দমন অভিযানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা
যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালিরা। বরাবরের মতোই রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটিকে পালন করা
হচ্ছে জাতীয় দিবস হিসাবে।
তবে
বাংলাদেশের জন্মের ৫০ বছর পূর্তিতে এবারের স্বাধীনতা দিবস এসেছে অনন্য এক উদযাপনের
মুহূর্ত হয়ে।
সুবর্ণ জয়ন্তীর
সঙ্গেই বাংলাদেশ উদযাপন করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
জন্মশতবার্ষিকী, যার
হাত ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল।
বাংলাদেশের
স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে শুক্রবার ভোর ৬টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে
শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
পরে স্পিকার
শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর সকাল
সাতটায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলীয় নেতারা শ্রদ্ধা
নিবেদন করেন।

সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত
বিদেশি অতিথির শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অন্য কারও প্রবেশের
সুযোগ ছিল না।
বেলা ১১টার পর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের মধ্যে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতারা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন
করেন।
পরে আওয়ামী
লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “স্বাধীনতার শত্রু, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং
বর্ণচোরাদের প্রতিহত করে তাদেরকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করাই হচ্ছে আজকের দিনের শপথ।
“জনগণের
ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার
ঘোষণার বৈধতা পেয়েছিলেন, কাজেই স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠক
অনেকেই হতে পারে, কিন্তু ঘোষক একজনই, তিনি হচ্ছেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।”
পরে দলের
নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।